Category Archives: কুরআনে বর্ণিত আদেশ নিষেধ

চলুন girlfriend / boyfriend খুজিঁ ..

চলুন গার্লফ্রেন্ড/বা বয় ফ্রেন্ড খুজি…..!

======= wait===== আগে পড়ে নেন।
ইসলামের দৃষ্টিতে ডেটিং হারাম নাকি
হালাল!! আপনি কি একজন মুসলমান এবং আপনার কি একটি বান্ধবী আছে? উল্লিখিত
অজুহাতের মধ্যে আপনার অজুহাত কোনটি?
অজুহাত ১:আমি কিভাবে এমন একজন
পাব যে আমার ধর্ম অনুযায়ী আমার জন্য
উপযুক্ত? এমন কাউকে পাওয়া যাবে না।
আমি যদি এখন একা থাকি তাহলে হয়ত আমার সারাজীবনই একা থাকতে হবে….
আল্লাহ্ সুবানাহুতালা বলেনঃ
চরিত্রহীনা নারী চরিত্রহীন পুরুষের জন্য,
আর চরিত্রহীন পুরুষ চরিত্রহীনা নারীর জন্য,
চরিত্রবান নারী চরিত্রবান পুরুষের জন্য, আর
চরিত্রবান পুরুষ চরিত্রবান নারীর জন্য।
লোকেরা যা বলে তা থেকে তারা পবিত্র।
তাদের জন্য আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা। (সুরাহ নুর ২৬)

image

অজুহাত ২:এটা তো এমন না যে আমি জিনা
(অবৈধ যৌন সঙ্গম) করছি। আমি আমার লিমিট জানি। আমি বেশি কিছুই করছি না।
আমি যদি মন থেকে পরিস্কার থাকি তাহলেই
তো চলে। আল্লাহ্ সুবানাহুতালা আরও বলেনঃ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক
অনুসরণ করোনা। কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে সে তাকে নির্লজ্জতা ও অপকর্মের আদেশ দেবে, তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকলে তোমাদের একজনও কখনো পবিত্রতা লাভ করতে পারতো না। অবশ্য যাকে ইচ্ছা আল্লাহ্ পবিত্র
করে থাকেন, আল্লাহ্ সব কিছু শোনেন, সর্ব
বিষয়ে অবগত। ( সুরাহ নুর ২১)

অজুহাত ৩:আমি তাকে ভালোবাসি।
আমি জানি সে একজনই। তার মত আর
কেউ হবে না। আল্লাহ্ বলেন: কিন্তু তোমরা কিছু অপছন্দ কর সম্ভবত তোমাদের জন্য
তা কল্যাণকর এবং সম্ভবত তোমরা কিছু
পছন্দ কর অথচ তা তোমাদের জন্য
অকল্যাণকর। বস্তুত তোমরা জাননা, আল্লাহ্ই জানেন। ( সুরাহ বাকারাহ ২১৬)

অজুহাত ৪:আমি জানি তুমি ঠিক বলছ।
কিন্তু এটা খুব কষ্টের কাজ। এই অবাধ
মেলামেশার মধ্যে এটা সত্যিই খুব কঠিন
কাজ। আমি আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম, কিন্তু আল্লাহ্ আমার দুয়ায় সাড়া দেননি। আগের সময়ে বিয়ে খুব সোজা ছিল। খুব কম বয়সেই তারা বিয়ে করতে পারত। কিন্তু এখন তো আর তেমন নাই। আমার মন পরিষ্কার। যেকোনভাবে হোক আমিতো জান্নাতে যাবোই। আল্লাহ্ বলেনঃ- “তোমাদের কি এই ধারণা যে, তোমরা জান্নাতে চলে যাবে, অথচ সে লোকদের অবস্থা অতিক্রম করনি যারা তোমাদের পূর্বে অতীত হয়েছে। তাদের উপর এসেছে বিপদ ও কষ্ট। আর এমনি ভাবে শিহরিত হতে হয়েছে যাতে নবী ও তাঁর প্রতি যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে পর্যন্ত একথা বলতে হয়েছে যে, কখন আসবে আল্লাহর সাহায্য! তোমরা শুনে নাও, আল্লাহর সাহায্য একান্তই নিকটবর্তী। (সুরাহ বাকারাহ-২১৪)

image

অজুহাত ৫:
আমি এমন ঝুকি নিতে পারব না। তার
মত একজন পাওয়া আমার সারাজীবনের
ভাগ্য। কেমন হবে সেটা যদি আমি তাকে এখন ছেড়ে দেই এবং যখন আমার বিয়ে করার সামর্থ্য হবে তখন সে না থাকে বা আমার জন্য যে আসবে সে যদি তাঁর মত না হয়? আমার মনে হয়না যে আমি তাঁর মত আর কাউকে পাব। আল্লাহ্ বলেনঃ “শয়তান তোমাদেরকে অভাব অনটনের ভীতি প্রদর্শন করে এবং অশ্লীলতার আদেশ দেয়। পক্ষান্তরে আল্লাহ
তোমাদেরকে নিজের পক্ষ থেকে ক্ষমা ও
বেশী অনুগ্রহের ওয়াদা করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়,.সুবিজ্ঞ। (সুরাহ বাকারাহ ২৬৮)

অজুহাত ৬:
কিন্তু যখন আমি তার সাথে থাকি তখন আমি
অনেক ভালো থাকি। তাকে ছাড়া আমি অসম্পূর্ণ। যখন আমি তার সাথে থাকি, তখন এক দিন যেন এক ঘণ্টা মনে হয়। এক ঘণ্টা যেন এক সেকেন্ড মনে হয়। সময় যেন চোখের পলকেই চলে যায়। আল্লাহ্ বলেনঃ অতএব, তোমাদেরকে যা দেয়া হয়েছে তা পার্থিব
জীবনের ভোগ মাত্র। আর আল্লাহর কাছে যা
রয়েছে, তা উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী তাদের জন্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও তাদের পালনকর্তার উপর ভরসা করে। (সুরাহ শুরাহ ৪২: ৩৬)

অজুহাত ৭:
আমি তাকে ভোলার অনেক চেষ্টা করেছি
কিন্তু আমার সত্যিই এতো শক্তি নাই যে আমি তাকে ভুলে থাকতে পারব। আমি যদি তাকে ছেড়ে দিই, তাহলে আমি সত্যিই মরে যাবো। আমি এখান থেকে বের হতে পারব না।
আল্লাহ্ বলেনঃ … আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির পথ করে দেবেন। (সুরাহ তালাক ৬৫: ২)

অজুহাত ৮:
আমি এখনি বিয়ে করতে প্রস্তুত নই।
আমার তেমন বয়স হয়নি; আমি কোন
চাকুরি করি না। আমার ওসব করতে এখন
অনেক সময় বাকি। আমি যদি এখনই তাঁর সাথে সম্পর্ক শেষ করে দিই তবে আমি অতদিন পর্যন্ত একা থাকতে পারবনা। ভাই
আল্লাহর কাছে দুয়া করেন তিনি যেন
আমাকে ধৈর্য দান করেন এবং তাড়াতাড়ি আমার বিয়ের ব্যাবস্থা করেন।
আল্লাহ্ বলেন: ধৈর্য্যর সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর
নামাযের মাধ্যমে। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব। (সুরাহ বাকারাহ ২: ৪৫)

অজুহাত ৯:
কেন আল্লাহ্ আমার কাছ থেকে আমার
ভালবাসার জিনিস নিয়ে যেতে চান?
রসুল (স) বলেন: নিশ্চয়ই, আল্লাহ্ যা ইচ্ছা নিয়ে যান, এবং তিনি যাই দান করেন সবই তাঁর, এবংসবকিছুর ব্যাপারে তিনি সময় নির্ধারণ করেছেন… তাই ধৈর্য্য ধারণ কর, তোমরা পুরস্কৃত হবে [ আল বুখারী]

অজুহাত ১০:
কেন ভাই তুমি আমাকে এসব বলছো?
তোমার কি আর কোন কাজ নাই? দেখ
আমি সব কিছু মানতে রাজি আছি কিন্তু
তাকে আমি ছাড়তে পারব না। এই
একটা জিনিসই আমি ভালোবাসি আর
তুমি আমাকে এটাও ছাড়তে বলছ?
আমার জন্য এটা সম্ভব না। আল্লাহ্ বলেন:
আপনি কি তাকে দেখেন না, যে তারা প্রবৃত্তিকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে? তবুও কি আপনি তার যিম্মাদার হবেন? (সুরাহ ফুরকান ২৫: ৪৩)

এসো আলোর পথে

ক্ষতি থেকে বাঁচার উপায়ঃ দারসুল কোরআন

দারসুল কুরআন সূরা আল-আসর

(ক্ষতি থেকে বাঁচার উপায়)ক্ষতি থেকে বাচার উপায়

ﻭَﺍﻟْﻌَﺼْﺮِ ‏( 1 ‏) ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺈِﻧْﺴَﺎﻥَ ﻟَﻔِﻲ ﺧُﺴْﺮٍ ‏(2 ‏) ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﻭَﻋَﻤِﻠُﻮﺍ ﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤَﺎﺕِ ﻭَﺗَﻮَﺍﺻَﻮْﺍ ﺑِﺎﻟْﺤَﻖِّ ﻭَﺗَﻮَﺍﺻَﻮْﺍ ﺑِﺎﻟﺼَّﺒْﺮِ ‏(3 ) অর্থঃ সময়ের কসম। মানুষ আসলে খুবই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। তবে তারা ছাড়া যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করতে থেকেছে এবং পরস্পরকে হক কথার ও সবর করার উপদেশ দিতে থেকেছে। নামকরণঃ প্রথম আয়াতের “আল আছর” শব্দটিকে এর নাম হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। নাযিল হবার সময়কালঃ মুজাহিদ, কাতাদাহ ও মুকাতিল একে মাদানী বলেছেন। কিন্তু বিপুল সংখ্যক মুফাস্সির একে মাক্কী বলেছেন। এর বিষয়বস্তু থেকে বোঝা যায় মাক্কী যুগের প্রথম অংশে অবতীর্ণ। এর আকার মাক্কী সুরার বৈশিষ্ট্য বহন করে। বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্যঃ এর মধ্যে স্পষ্ট ভাষায়, মানুষের সাফল্য ও কল্যাণ এবং ধ্বংসের পথ বর্ণনা করা হয়েছে। ইমাম শাফেয়ী বলেন- মানুষ যদি এই একটি সুরা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে তাহলে এটিই তাদের হেদায়েতের জন্য যথেষ্ট। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হিসন দারেমী আবু মাদীনা- ﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻠَﺎﻥِ ﻣِﻦْ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏِ ﺭَﺳُﻮْﻝِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺇِﺫَﺍ ﺍﻟْﺘَﻘَﻴَﺎ، ﻟَﻢْ ﻳَﺘَﻔَﺮَّﻗَﺎ ﺇِﻟَّﺎ ﻋَﻠﻰ ﺃَﻥْ ﻳَﻘْﺮَﺃَ ﺃَﺣَﺪُﻫُﻤَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺂﺧَﺮِ “ ﺳُﻮْﺭَﺓَ ﺍﻟْﻌَﺼْﺮِ ” ﺇِﻟﻰ ﺁﺧِﺮِﻫَﺎ، ﺛُﻢَّ ﻳُﺴَﻠِّﻢَ ﺃَﺣَﺪُﻫُﻤَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺂﺧَﺮِ ‘রাসূলুল্লাহ (সা:) এর সাহাবীদের মধ্য থেকে যখন দুই ব্যক্তি মিলিত হতেন তখন তারা একজন অপরজনকে সুরা আছর না শোনানো পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হতেন না।’ (তাবারানী) ব্যাখ্যাঃ মূলবিষয়ঃ এ সুরায় চারটি গুণাবলীর অধিকারী ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে যারা সময়ের ভেতর অবস্থানকালীন ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে- – ঈমান – সৎকাজ – পরস্পরকে হকের উপদেশ দেয়া। – পরস্পরকে সবর করার উপদেশ দেয়া। কসমের অর্থঃ আল্লাহ সৃষ্টিকুলের কোন বস্তুর শ্রেষ্ঠত্ব, অভিনবত্ব প্রকাশের জন্য কখনও কসম খাননি বরং যে বিষয়টি প্রমাণ করার উদ্দেশ্য এই বস্তুটি তার সত্যতা প্রমাণ করে বলেই তার কসম খেয়েছেন। এখানে সময়ের কসম খাওয়ার অর্থ হলো যাদের মধ্যে উল্লিখিত চারটি গুনাবলী রয়েছে তারা ছাড়া বাকী সমস্ত মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে সময় সাক্ষী। আয়াত নং ১-৩ সময়ের কসমঃ সময় বলতে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। এটি কোন দীর্ঘ সময় নয়। ভবিষ্যতের গর্ভ থেকে বের হয়ে আসা বর্তমান অতীতে নিপতিত হচ্ছে। অতীতের কসম হলো ইতিহাসের সাক্ষ্য। বর্তমানের কসম হলো বর্তমানের অতিবাহিত সময় মানুষকে কাজের জন্য দেয়া হচ্ছে। দ্রুত অতিবাহিত সময়ই হলো আসল মূলধন। ইমাম রাযী কর্তৃক এক মনীষির উদ্ধৃত উক্তি- এক বরফ ওয়ালা বাজারে হেকে চলছিল, দয়া করো এমন এক ব্যক্তির প্রতি যার পুজি গলে যাচ্ছে। ১) “মানুষ” বলতে সমস্ত জাতিকে বোঝানো হয়েছে। ২) “ক্ষতি” বলতে সাধারন অর্থে লাভের বিপরীত হলেও এখানে কল্যাণ ও সফলতা বিপরীত অর্থে। ৩) (সাফল্য ও ক্ষতির ব্যাখ্যা করতে হবে) প্রকৃত অর্থ হলো দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জায়গায় ক্ষতি বিরাজমান। চারটি গুন সম্পন্ন লোক দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জায়গাতেই লাভবান। চারটি গুনঃ ১) ঈমানঃ ঈমানের সমন্বয় হলো ক) মৌখিক স্বীকৃতি খ) অন্তরে বিশ্বাস গ) কাজে পরিণত করা। কোরআনে ঈমানের ব্যাখ্যা- “যারা বলেছে আল্লাহ আমাদের রব তারপর তার উপর অবিচল হয়ে গেছে।”(হা-মীম সিজদা-৩০) ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﺭَﺑُّﻨَﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺛُﻢَّ ﺍﺳْﺘَﻘَﺎﻣُﻮﺍ “আসলে তারাই মূমিন আল্লাহর কথা উচ্চারিত হলে যাদের দিল কেপে উঠে।”(আনফাল-২) ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺇِﺫَﺍ ﺫُﻛِﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺟِﻠَﺖْ ﻗُﻠُﻮﺑُﻬُﻢْ “আসলে তারাই প্রকৃত মুমিন যারা আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছে এরপর কোনরূপ সন্দেহে পতিত হয়নি।”(হুজুরাত,১৫) ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟِﻪِ ﺛُﻢَّ ﻟَﻢْ ﻳَﺮْﺗَﺎﺑُﻮﺍ “যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহকে সর্বাধিক ও অত্যন্ত মজবুতির সাথে ভালোবাসে।” (বাকারা-১৬৫) ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺃَﺷَﺪُّ ﺣُﺒًّﺎ ﻟِّﻠَّﻪِ ঈমানের আসল লক্ষ্য হলো প্রকৃত ঈমান, কেবল মৌখিক স্বীকারোক্তি নয়। হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ঈমান আনো।”(নিসা-১৩৬) ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺁﻣِﻨُﻮﺍ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟِﻪِ ২) সৎকাজঃ দ্বিতীয় গুণটি হলো সৎকাজ। কুরআনের পরিভাষায় সালেহাত সমস্ত সৎকাজ এর অন্তর্ভুক্ত। কুরআনের দৃষ্টিতে, যে কাজের মূলে ঈমান আছে এবং যা আল্লাহ ও তার রাসূল (সা:) প্রদত্ত হেদায়াতের ভিত্তিতে সম্পাদিত হয়েছে তা, সৎকাজ। ঈমানের পর সৎকাজের বর্ণনার অর্থ হলো ঈমান বিহীন কোন সৎকাজের পুরস্কার দেয়ার …… নেই। সৎকাজ বিহীন ঈমান একটি দাবী ছাড়া আর কিছুই নয়। ঈমান ও সৎকাজ বীজ আর বৃক্ষের মতো। পরবর্তী দু’টি গুণ হলো – যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে তারা পরস্পরকে হক কথা বলা হক কাজ করা এবং ধৈর্য্য ধারণের উপদেশ দিতে হবে। এর প্রাথমিক অর্থ হচ্ছে ঈমানদার ও সৎকর্মশীলদের পৃথক না থেকে সম্মিলিতভাবে একটি সৎ সমাজ দেহ গড়ে তুলতে হবে। “হক” শব্দটি বাতিলের বিপরীত। দু’টি অর্থ- i) সঠিক, নির্ভুল, সত্য অনুসারী এবং আকিদা ও ঈমান বা পার্থিব বিষয়াদির সাথে সম্পর্কিত প্রকৃত সত্য অনুসারীর কথা। ii) আল্লাহর বান্দার বা নিজের যে হকটি আদায় করা ওয়াজিব হয়ে যায়। (১) বাতিল মাথা উঁচু করে দাড়ালে হক পন্থীরা নিরব দর্শক নয়। (২) সমাজে প্রানশক্তি বজায় থাকে। (৩) হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে হক পন্থীরা অন্যদেরকেও হকের উপদেশ দেয়। সুরা মায়েদার (৭৮-৭৯) তে বলা হয়েছে- ﻟُﻌِﻦَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﻣِﻦْ ﺑَﻨِﻲ ﺇِﺳْﺮَﺍﺋِﻴﻞَ ﻋَﻠَﻰ ﻟِﺴَﺎﻥِ ﺩَﺍﻭُﻭﺩَ ﻭَﻋِﻴﺴَﻰ ﺍﺑْﻦِ ﻣَﺮْﻳَﻢَ ﺫَﻟِﻚَ ﺑِﻤَﺎ ﻋَﺼَﻮْﺍ ﻭَﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻳَﻌْﺘَﺪُﻭﻥَ ‏(78 ‏) ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻟَﺎ ﻳَﺘَﻨَﺎﻫَﻮْﻥَ ﻋَﻦْ ﻣُﻨْﻜَﺮٍ ﻓَﻌَﻠُﻮﻩُ ﻟَﺒِﺌْﺲَ ﻣَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻳَﻔْﻌَﻠُﻮﻥَ ‘হযরত দাউদ ও হযরত ঈসা (আ:) এর মুখ দিয়ে বনী ইসরাঈল জাতির উপর লা’নত করা হয়েছে কারণ তাদের সমাজে গোনাহ ও জুলুম ব্যাপক বেড়ে গিয়েছিল এবং লোকেরা পরস্পরকে খারাপ কাজে বাধা দিত না।’ চতুর্থ গুনটি হলো সবরঃ হকের নসিহত করতে গিয়ে বা হকের সমর্থন করতে গিয়ে যে সব সমস্যা ও বাধার মুখে নিপতিত হতে হয় তার মোকাবেলায় তারা পরস্পরকে অবিচল ও দৃঢ় থাকার উপদেশ দিতে থাকবে। -ঃ শিক্ষা ঃ- (১) দুনিয়া ও আখেরাতের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রকৃত ঈমানদার হতে হবে। (২) প্রকৃত ঈমানদারকে অবশ্যই সৎকাজ করতে হবে এবং পরস্পরকে হক কথা বলতে হবে। (৩) ঈমানদারকে অবশ্যই বাতিলের বিরুদ্ধে লড়তে হবে এবং বাতিলকে মাথা উচু করে দাড়াতে দেবেনা। (৪) হক পথে চলার সময় সমস্ত বাধা বিপত্তি অবশ্যই ধৈর্য্য ধরে সামনে অগ্রসর হতে হবে।