রোযা ভঙ্গের গ্রহণ যোগ্য কারণ কি কি

প্রশ্নঃ (৩৯৮) রোযা ভঙ্গের গ্রহণযোগ্য
কারণ কি কি?
উত্তরঃ রোযা ভঙ্গের কারণ সমূহ হচ্ছেঃ
১) অসুস্থতা,
২) সফর। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে।
আল্লাহ্ বলেন,
ﻭَﻣَﻦْ ﻛَﺎﻥَ ﻣَﺮِﻳﻀًﺎ ﺃَﻭْ ﻋَﻠَﻰ ﺳَﻔَﺮٍ ﻓَﻌِﺪَّﺓٌ ﻣِﻦْ ﺃَﻳَّﺎﻡٍ ﺃُﺧَﺮَ
আর যে ব্যক্তি অসুস্থ হবে অথবা সফরে
থাকবে (সে রোযা ভঙ্গ করে) অন্য দিনে তা
কাযা আদায় করে নিবে।(সূরা বাক্বারাঃ
১৮৫)
৩) গর্ভবতী নারীর নিজের বা শিশুর
জীবনের আশংকা করলে রোযা ভঙ্গ করবে।
৪) সন্তানকে দুগ্ধদানকারীনী নারী যদি
রোযা রাখলে নিজের বা সন্তানের
জীবনের আশংকা করে তবে রোযা ভঙ্গ
করবে।
৫) কোন বিপদগ্রস্ত মানুষকে বাঁচাতে গিয়ে
রোযা ভঙ্গ করা: যেমন পানিতে ডুবন্ত
ব্যক্তিকে উদ্ধার, আগুন থেকে বাঁচাতে
গিয়ে দরকার হলে রোযা ভঙ্গ করা।
৬) আল্লাহ্র পথে জিহাদে থাকার সময়
শরীরে শক্তি বজায় রাখার জন্য রোযা ভঙ্গ
করা। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের সময়
ছাহাবীদেরকে বলেছিলেন,
ﺇِﻧَّﻜُﻢْ ﻣُﺼَﺒِّﺤُﻮ ﻋَﺪُﻭِّﻛُﻢْ ﻭَﺍﻟْﻔِﻄْﺮُ ﺃَﻗْﻮَﻯ ﻟَﻜُﻢْ ﻓَﺄَﻓْﻄِﺮُﻭﺍ
আগামীকাল তোমরা শত্রুর মোকাবেলা
করবে, রোযা ভঙ্গ করলে তোমরা অধিক
শক্তিশালী থাকবে, তাই তোমরা রোযা ভঙ্গ
কর।[6]
বৈধ কোন কারণে রোযা ভঙ্গ করলে দিনের
বাকী অংশ রোযা অবস্থায় থাকা আবশ্যক
নয়। কেননা সে তো গ্রহণযোগ্য ওযরের
কারণেই রোযা ভঙ্গ করেছে। এজন্য এ
মাসআলায় বিশুদ্ধ কথা হচ্ছেঃ কোন রুগী
যদি অসুস্থতার কারণে দিনে রোযা ভঙ্গ
করে আর দিন শেষ হওয়ার আগেই সুস্থ হয়ে
যায়, তবে দিনের বাকী অংশ রোযা
অবস্থায় থাকার কোন আবশ্যকতা নেই। কোন
মুসাফির যদি রোযা ভঙ্গ অবস্থায় দিন
থাকতেই সফর থেকে ফিরে আসে তারও
দিনের বাকী অংশ রোযা অবস্থায় থাকার
আবশ্যকতা নেই। অনুরূপ বিধান ঋতুবতী
নারীর। কেননা এরা সবাই বৈধ কারণে
রোযা ভঙ্গ করেছে। তাই ঐ দিবস তাদের
জন্যই। তাতে তাদের প্রতি ছিয়ামের
আবশ্যকতা নেই। কেননা শরীয়ত তাদেরকে
রোযা ভঙ্গের অনুমতি প্রদান করে আবার তা
আবশ্যক করবে না।
এর বিপরীত মাসআলা হচ্ছে, রামাযান
মাসের চাঁদ দেখা গেছে একথা যদি দিনের
বেলায় প্রমাণিত হয়, তবে খবর পাওয়ার
সাথে সাথে রোযার নিয়ত করে নিতে হবে
এবং দিনের বাকী সময় রোযা অবস্থায়
কাটাতে হবে। উভয় মাসআলায় পার্থক্য
সুস্পষ্ট। কেননা যখন কিনা দিনের বেলায়
রামাযান মাস শুরু হওয়ার কথা প্রমাণিত
হয়েছে, তখন তাদের উপর সে দিনের ছিয়াম
পালন করা ওয়াজিব হয়ে গেছে। কিন্তু না
জানার কারণে তাদের ওযর গ্রহণযোগ্য এবং
তাদের ছিয়াম বিশুদ্ধ। এই কারণে তারা যদি
জানতে পারত যে আজ রামাযান শুরু হয়েছে,
তবে রোযা রাখা তাদের জন্য আবশ্যক হত।
ফজর হওয়ার পর যদি জানতে পারে যে
রামাযান মাস শুরু হয়েছে, তখন কি করবে?

About আলোর কাফেলার সঙ্গী

আমি একজন মুবাল্লিগ ... আল্লাহ আমাকে কবুল করুন. আমিন

Posted on মে 26, 2016, in ইমান ও আকিদাহ, ইসলামে পর্দা নারী ও পুরুষের, জীবন সঙ্গী, তালাক, নবী রাসুলদের কাহিনী, পর্ণোগ্রাফি, প্রেম-ভালবাসা love-affair, মানুষ সৃষ্টির রহস্য, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর আদর্শ, সংসার গঠন, হিজরতের গুরুত্ব, Uncategorized. Bookmark the permalink. এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান.

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান