online offline it doesn’t matter, the evil eye is real !!

online offline it doesn’t matter, the evil eye is
real !!

image

আমার এক বন্ধুর তার পরিচিত এক মেয়েকে বিয়ের
ব্যাপারে আগ্রহ ছিল। তার আগ্রহের কারণ ছিল
মেয়ের মা মেয়েকে মাশাআল্লাহ বেশ ইসলামী
অনুশাসনে বড় করেছেন। পরিবারটিকে আমিও চিনি।
আলহামদুলিল্লাহ ছেলেদের সাথে মিশবে তাই
অ্যান্টি মেয়েকে পড়িয়েছেন গার্লস স্কুলে,
ওমেন কলেজে। কোচিং এ পড়লে ফিতনায়
জড়িয়ে যাবে তাই বাড়িতে মহিলা টিচার রেখে
মেয়েকে পড়ান। ইন্টারনেটের পাল্লায় পড়ে
খারাপ হয়ে যাবে সেই ভয়ে মেয়েকে ল্যাপটপ
ব্যবহার করতে দিতেন না!
(১)
কয়দিন আগে সেই বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম,
বিয়ের কি অবস্থা! সে জানালো, বাদ দিয়ে
দিয়েছে। হঠাৎ একদিন মেয়ের ফেসবুক
প্রোফাইল দেখে বন্ধু যারপরনাই হতাশ। মেয়ের
ছবি আপলোড আর সেখানে ছেলেদের সাথে
লুতুপুতু দেখে বন্ধুর আগ্রহ মরে গেছে।
ওয়াল্লাহি এটা খুবই দুঃখজনক!
নিজেদের মেয়েদেরকে মানুষের সামনে
শো করে বেড়ানো জাহেল বাবা মায়েদের কথা
বাদই দিলাম। আমাদের ইসলামপন্থী বাবামায়েদের
কথা বলছি যারা তাদের মেয়েদেরকে ইসলামের
অনুশাসনে বড় করছেন, মেয়েকে পর্দার মধ্যে
লালন করছেন, মেয়েকে নন মাহরামের সাথে
মিলামিশা থেকে বিরত রাখছেন… আপনারা জানেন
তো??
আপনারা জানেন তো আপনাদের বাস্তব জীবনের
পাশাপাশি আজ ছেলেমেয়েদের একটি ভার্চুয়াল
জগতও আছে? জানেন তো আপনার মেয়েরও
ফেসবুক আইডি আছে? আপনার সামনে পর্দানশীন
মেয়ে চাইলেই এই ফেসবুকে নিমিশেই বেপর্দা
হতে পারে। নন মাহরাম থেকে আগলে
রেখছেন যে আদরের মেয়েকে, চাইলেই
সেই মেয়ে এই ফেসবুকে নন মাহরামের সাথে
কথার ফুলঝুরি ছড়াতে পারে, চলতে পারে
ইনবক্সের গোপন আলাপ। বাসায় আপনারা “আমরা
আমরাই তো” যে হালাল ছবিগুলো তোলেন
সেগুলো এখানে পরপুরুষের জন্য উন্মুক্ত করে
দিয়ে হারাম করে দেওয়া যায়। জানেন তো? খবর
রাখেন তো আপনার মেয়ের ফেসবুক আইডির?
আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি এসব
অনভিপ্রেত ঘটনার কারণ ছেলেমেয়েকে
ইসলামের নৈতিকতা, মূল্যবোধের সঠিক শিক্ষাটুকু না
দেওয়া। এটা করবে না, ওটা করবে না, হিজাব কর,
ছেলেদের সাথে কথা বলবে না, ওখানে যাবেনা ,
এধরনের হুকুম কিন্তু ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা নয়।
আল্লাহর দেওয়া বিধি নিষেধের পাশাপাশি দ্বীন
ইসলামের সাথে, এর ভেতরের নির্যাসের সাথে,
এই বিধি নিষেধের কারণ সম্পর্কে ধারণা দেওয়াটাও
জরুরি। না হলে ছেলে মেয়েরা ইসলামের এসব
নিয়ম নীতিকে বোঝা হিসেবে নিয়ে নেয়। আর
ফলিশ্রুতিতে পিতামাতার সামনে দ্বীনদার হলেও
বাইরে ঠিকই জাহিলিপনায় জড়িয়ে পড়ে। আর এই
কাজটা যেন আজ অনেক বেশী সহজ করে
দিয়েছে ফেসবুক নামের যোগাযোগ মাধ্যম।
আজ আমরা সারা দুনিয়ার মানুষকে দাওয়া দিয়ে বেড়াই,
সারা দুনিয়াতে দ্বীন কায়েমের স্বপ্ন দেখি কিন্তু
নিজেদের পরিবারগুলোর কোন খোঁজ খবর রাখি
না। খবর রাখিনা আল্লাহ কি বলেছেন কুর’আনে।
আল্লাহ বলেছেন,
“মুমিনগণ, তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের
পরিবার-পরিজনকে সেই অগ্নি থেকে রক্ষা কর,
যার ইন্ধন হবে মানুষ ও প্রস্তর, যাতে নিয়োজিত
আছে পাষাণ হৃদয়, কঠোরস্বভাব ফেরেশতাগণ।
তারা আল্লাহ তায়ালা যা আদেশ করেন, তা অমান্য করে
না এবং যা করতে আদেশ করা হয়, তাই করে।”
(সূরা তাহরিমঃ ৬)
সারা দুনিয়ার মানুষকে আগুন থেকে বাঁচানোর
দায়িত্ব আপনাকে দেওয়া হয়নি কিন্তু নিজের
পরিবারকে বাঁচানোর দায়িত্ব আপনাকে দেওয়া
হয়েছে।
তাই বাবা মায়েদের উচিত হবে ছেলেমেয়েদের
বাস্তবের ইসলামাইজেশনের পাশাপাশি ভার্চুয়াল
জগতেরও খবর রাখা। সম্ভব হলে কোন কারণ ছাড়া
মেয়েদের ফেসবুক ব্যবহার থেকে বিরত রাখা।
গায়ের পর্দা লাগিয়ে নিরাপদ ভাবার কোন কারণ নেই,
মনের পর্দাটাও যেন আল্লাহর ভয়ে পাপকাজ
থেকে বিরত রাখতে পারে। বাস্তবে পর্দা, নন
মাহরাম মেনে চললেই সব শেষ নয়, ফেসবুকেও
তার যথাযথ প্রয়োগ থাকতে হবে। মনে রাখা উচিত,
online offline it doesn’t matter, the evil eye is
real !!
(২)
ওয়েডিং ফটোগ্রাফি !
বোনেরা ‘ওয়েডিং ফটোগ্রাফি’ টাইপের
পেইজগুলোতে যত কম ঘুরঘুর করবেন,
আপনাদের মানসিক ও আত্মিক স্বাস্থ্য ততই ভালো
থাকবে। ভাইদের তো ওইসব এলাকায় যাওয়া নিষিদ্ধ,
তারপরেও গেলে, বোঝাপড়াটা আল্লাহর সাথেই
করবেন !
হে আমার বোন, নিজেকে প্রদর্শিত করার,
লোকজনকে নিজের সৌন্দর্যে মুগ্ধ করাতে
যেই আয়োজন তা রীতিমত অন্যায়। আপনার
সৌন্দর্য কেবলই আপনার স্বামী জন্যই
আয়োজিত হওয়া উচিত।
তাছাড়া, অর্থনৈতিক মন্দা সবখানে। ওয়েডিং
ফটোগ্রাফির জন্য যে আয়োজন — শাড়ি, গহনা,
বিউটি-পার্লার, ফটোগ্রাফার এনে আপনার এই
আয়োজনটা ‘স্মৃতি’ ধরে রাখার নামে অর্থের
যথেচ্ছা ব্যবহার নয় কি? আপনি বরং অপচয় না করে
এই সমাজের হাজার হাজার অভাবী মানুষের কারো
জীবনকে সুন্দর করতে সাদাকাহ করে দিন।
আল্লাহ আপনার এবং আপনার দাম্পত্য জীবনকে
কল্যাণে ভরে দিবেন ইনশা আল্লাহ।
courtesy : *১- জনৈক
*২-সাফওয়ান

এসো আলোর পথে

About আলোর কাফেলার সঙ্গী

আমি একজন মুবাল্লিগ ... আল্লাহ আমাকে কবুল করুন. আমিন

Posted on ডিসেম্বর 8, 2015, in প্রেম-ভালবাসা love-affair, যৌবন কাল, রেহনুমা বিনত আনিস. Bookmark the permalink. এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান.

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান