Daily Archives: জুলাই 23, 2015

জীবনে ভালো থাকার জন্য যা করতে হবে

জীবনে ভালো থাকার জন্য যা করতে হবে জীবন

ভালো থাকুন

কতনা অদ্ভূত! কখনও কতইনা সুন্দর আর আনন্দময়, আর কখনও কত কষ্টকর! আমাদের জীবনটাই যে এমন! কেউ তো জানিনা আমার যতি চিহ্ন কোথায়… কী নিয়ে দুঃখ করবো আমি? আজ হয়ত আমি অনেক সুখী, যদি আজই চলে যেতে হয় এই জগত ছেড়ে, তবে আমি কি প্রস্তুত যাওয়ার জন্য? আমি যতটুকু সুখে আছি, অনেকেই তো তার চাইতে খারাপ আছেন, তাইনা?জীবনটাই তো এমন! অনেক পাওয়া আর না পাওয়া দিয়ে ঘেরা… অনেক তৃপ্তি আর অতৃপ্তি মাখানো… তাকে তো আপন করে নিলে চলেনা! তাকে সাথে করে চলতে হতে হয়। এলোমেলো হয়ে গেলেও প্রস্তুত হতে হবে আখিরাতের জন্য… সেটাতে ভুলে গেলে চলবেই না! একটা কথা শুনেছিলাম : জীবনে যা ঘটেছে, তা ভালো হয়েছে। যা হচ্ছে, তা-ও ভালো হচ্ছে। আর ভবিষ্যতে যা ঘটবে, তা-ও ভালোই হবে ছেলেবেলায় শোনা সেই গল্পের কথা মনে পড়ে গেলোঃ এক লোক মসজিদ থেকে বের হয়ে দেখেন তার জুতো জোড়া হারিয়ে গেছে। ভীষণ মন খারাপ করে তিনি পথ চলতে শুরু করলেন খালি পায়ে। কিছুদূর যাবার পর তিনি দেখলেন একজন ভিক্ষুককে যার দু’টো পা-ই নেই… তখন তার নিজের জুতো হারাবার দুঃখ ঘুচে গেলো… আমার তো অন্ততঃ দু’টো পা অক্ষত আছে! যাক না দু’জোড়া জুতো… এটা মনে হয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর একটা কবিতায় পড়েছিলাম আমরা। যা হারিয়ে গেছে আমার, তার চাইতে অনেক বেশি কিছু আমার কাছেই আছে। অনেকের কাছে সেটুকুও তো নেই! এটাই হয়ত আত্মিক শান্তি অর্জনের ভাবনা হওয়া উচিত। আর সেই শান্তির খোজেই তো আমরা ছুটে চলেছি জগতময়! যদি মনেই শান্তি পাওয়া যায়, তবে আর ক্ষতি কী? আজ কিছু টিপস, কীভাবে ভালো থাকা যায় : নিজেকে কখনও অন্যের সাথে তুলনা করবেন না। নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা থেকে বিরত থাকুন। সবকিছুকে পজেটিভ ভাবে গ্রহন করতে চেষ্টা করুন। নিজেকে নিয়ে এবং কাছের মানুষদেরকে নিয়ে অনর্থক বেশি দুঃচিন্তা করবেন না। মনে রাখবেন, দুঃশ্চিন্তা কখনোই সমস্যার সমাধান করবেনা। নিছক আড্ডা দিয়ে সময়ের অপচয় করবেন না। শত্রুতা এবং অন্যের প্রতি ঘৃণা বজায় রাখবেন না। এতে কেবল দুঃশ্চিন্তা বাড়ে এবং মানসিক শান্তি নষ্ট হয়, যা আপনার স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। নিজের এবং অন্যের অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিন, শিক্ষাকে মনে রাখুন, ভুলকে ভুলে যান। অতীতের ভুল নিয়ে অতিরিক্ত ঘাটাঘাটি করে তিক্ততা বাড়িয়ে বর্তমানের সুন্দর সময়কে নষ্ট করবেন না। মনে রাখবেন, জীবন একটি বিদ্যালয় যেখানে আপনি শিখতে এসেছেন। জীবনের যত সমস্যা তা এই বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত, এ নিয়ে তাই চিন্তা না করে বীজগণিতের মত সমাধানের চেষ্টা করুন। প্রচুর পরিমাণে হাসুন এবং সবসময় হাসিখুশী থাকার অভ্যাস করুন। সেই সাথে অন্যদেরকেও হাসিখুশী রাখতে চেষ্টা করুন। জীবনের সব ক্ষেত্রে জয় লাভ করা অসম্ভব। তাই হার মেনে নিতে প্রস্তুত থাকুন। এটাও আপনার একটা মানসিক বিজয়। অন্যের দোষ-ত্রুটি ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করুন। অন্যেরা আপনাকে নিয়ে কি ভাববে তা নিয়ে চিন্তিত হবার কিছু নেই। নিজের কাজ করে যান আত্মবিশ্বাস নিয়ে। সময়ের কাজ সময়ে করুন, কিছুতেই এখনকার কাজ পরে করার জন্যে ফেলে রাখবেন না। যেসব জিনিস চিত্তাকর্ষক ও আকর্ষণীয়, কিন্তু ও উপকারী নয়, তা থেকে দূরে থাকুন। সুসময় বা দুঃসময় যাই হোক না কেন, সবই বদলাবে, এটাই চিরন্তন নিয়ম, তাই কোনো কিছুতেই অতিরিক্ত উৎফুল্ল বা অতিরিক্ত দুঃখিত হবেন না। অনেক তো শুনলাম… এবার শুধু একটা কথা বলতে চাই… মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে বলেছেনঃ “তোমরা ধৈর্য্য ও সালাতের সাহায্যে আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে আছেন।” (সূরা বাকারা: ১৫৩) এই স্বল্প সময়ের পৃথিবীতে যেন আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে বিদায় নিতে পারি সেই প্রার্থনা আমার সবার জন্য রইলো। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন, সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। সঠিক পথ তো সে-ই পায়, যে তার জন্য স্বপ্ন দেখে, চেষ্টা করে, হৃদয় যার লালায়িত থাকে মুক্তির প্রত্যাশায

প্রিয়তমার কাছে আমার লেখা চিঠি

প্রিয়তমার কাছে চিঠি

 

প্রিয় তমা

ইদানিং তোমাকে প্রায়ই মনে পড়ে। তুমিও কি

আমার মতন এমন অজস্র তিক্ত মূহুর্ত কাটাচ্ছ?

তুমিও কি প্রায়ই সমাজের নোংরামিতে অসহায়

হয়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে থাকো?

যখন বন্ধুরা তাদের বউদের নিয়ে/

গার্লফ্রেন্ডদের হাজির করে আড্ডায়,

দেখানোর আগ্রহটা থাকে প্রকট। এই

প্রদর্শনেচ্ছা বুঝতে অন্তর্যামী হতে

হয়না, একটু বুদ্ধি থাকলেই হয়। অফিসের কলিগ,

কলেজ ও ভার্সিটির বন্ধুদের আড্ডাতে ওই

মেয়েগুলো যখন অমন করে — ওদের

নিজেদেরই কি খুব স্বস্তি হয়? আমার

আসলে তা মনে হয় না। আমি তাই কোনদিন

যেচে পড়ে কারো সাথে আলাপ করতে

বা পরিচিত হতেও যাইনি।

আমি তোমাকে এমন পুতুল বানিয়ে

প্রদর্শনে বিশ্বাসী নই। তুমি আমার কাছে

এত ঠুনকো নও যার মূল্য আমি পরের

চোখে বুঝতে যাব। দু’জন মানুষ একসাথে

যেন অনন্তকাল পাড়ি দিতে পারি তাই অনন্তের

মালিকের কাছে প্রিয় আর পছন্দের হওয়াই

তো আমার হৃদয়ের আজন্ম প্রত্যাশা।

‘একটা এমন সঙ্গী দরকার যাকে নিয়ে

ঘোরা যাবে’ — এমন মানসিকতা নিয়ে সবাই

আজকাল বড়শি ফেলতে থাকে কলেজ

জীবন থেকেই। পিচ্চি পিচ্চি

ছেলেগুলোও সাময়িক মাস্তির লক্ষ্যে কত

কিছুই না করে। এই সমাজের বন্ধনগুলো

কোথায় যাচ্ছে বল তো? আমার বড্ড খারাপ

লাগে। এই ছেলেমেয়েগুলোর হৃদয়

সারাক্ষণ অস্থির থাকে, জ্বালাপোড়া থাকে।

ভালোলাগাগুলো শরীরের ভালোলাগা,

তাতে সাকীনাহ থাকে না, তাতে ঝিরিঝিরি

বৃষ্টিতে মুখ ভেজানোর অনুভূতি থাকে না।

জানিনা তুমি কোথায় আছ। খুব স্বস্তিতে নেই

জানি। এমন উত্তাল অস্থির সংস্কৃতি আর

কামাসক্তদের প্রচারণার সমাজে সচ্চরিত্রা

নারীর চলাফেরা অনেক কঠিনই বটে।

তোমার জন্য আমি তেমন কিছু করতেও

পারছি না। তবে বিশ্বাস করো বোকা

মেয়ে, তোমার জন্য দু’আ আমার থাকে

প্রতিদিন অনেক বার করে প্রতিবেলায়। যদি

বেঁচে থাকতে আল্লাহ আমাদের দেখা না-ও

করান, জান্নাতের বাগানে দেখা হবে ইনশা

আল্লাহ। তোমার কথা ভাবলেই আমার স্বপ্ন

জাগে এমন মূহুর্তের যেখানে স্বচ্ছ পানির

এক নদীর পাশে দু’জনা বসে আছি।

জান্নাতের বর্ণনায় এমন চাওয়াই আমার বুকে

জাগে। নিজের যত্ন নিয়ো, তোমার

প্রতিদিনের দু’আতে আমাকে সঙ্গী

করিয়ো।

ইতি, তোমার প্রিয়।

মুল লেখা এখানে

http://thesafwanism.blogspot.com/2013/08/blog-post_5074.html