শাহাদাতের মর্যাদা

“শাহাদাতের মর্যাদা ”
মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (২)
আল -হাদীসের দৃষ্টিতে শাহাদাতের মর্যাদা :
(৮)বিশ্বনাবী, শ্রেষ্ঠ নাবী এবং শেষ
নাবী শাহীদ হওয়ার কামনা পোষন করতেন। পুনরায়
দুনিয়ায় দেহ ও আত্মা মিলিতভাবে এসে আবার
শাহীদ হওয়ার কামনা পোষন করেছেন।
এভাবে চারবার শাহীদ হওয়ার কামনা পোষন
করেছেন।সমস্ত নাবীদের সরদার হওয়ার পরেও
শাহীদ হওয়ার আকাংখা পোষন করায় শাহাদাতের
মর্যাদা অনুভব করা যায়।
ﻋﻦ ﺍﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮ ﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ
ﻭﺍﻟﺬﻱ ﻧﻔﺴﻲ ﺑﻴﺪﻩ ﻟﻮﻻ ﺍﻥ ﻻﺭﺟﺎﻻ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﻮﻣﻨﻴﻦ
ﻻﺗﻄﻴﺐ ﺍﻧﻔﺴﻬﻢ ﻋﻦ ﻳﺘﺨﻠﻔﻮﺍ ﻋﻨﻲ ﻭﻻ ﺍﺟﺪ ﻣﺎﺍﺣﻤﻠﻬﻢ
ﻋﻠﻴﻪ ﻣﺎﺗﺨﻠﻔﺖ ﻋﻦ ﺳﺮﻳﺔ ﺗﻐﺰﻭ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ
ﻭﺍﻟﺬﻱ ﻧﻔﺴﻲ ﺑﻴﺪﻩ ﻟﻮﺩﺩﺕ ﺍﻧﻲ ﺍﻗﺘﻞ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ
ﺛﻢ ﺍﺣﻴﻲ ﺛﻢ ﺍﻗﺘﻞ ﺛﻢ ﺍﺣﻴﻲ ﺛﻢ ﺍﻗﺘﻞ ﺛﻢ ﺍﺣﻴﻲ ﺛﻢ ﺍﻗﺘﻞ
ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﻭﻣﺴﻠﻢ
অনুবাদ :আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্নিত।
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন।
যার কুদরতী হাতে আমার প্রান, তার কসম
দিয়ে বলছি, মুমিন ব্যক্তিদের মন
আমাকে যুদ্ধে রেখে পিছনে থাকতে চায়
না এবং আমি তাদের জন্য বাহনও পাই না, এ রকম
যদি না হতো, তাহলে আমি কোন দল আল্লাহর
পথে যুদ্ধে পাঠিয়ে পিছনে বসে থাকতাম না।
যার কুদরতী হাতে আমার প্রান, তাঁর কসম
করে বলছি, আমি আল্লাহর পথে নিহত (শাহীদ)
হতে ভালবাসি। আবার আমাকে জীবিত করে, তারপর
আমি আল্লহর পথে নিহত(শাহীদ) হতে ভালবাসি।
আবার আমাকে জীবিত করে, তারপর আমি আল্লাহর
পথে নিহত (শাহীদ) হতে ভালবাসি। আবার
আমাকে জীবিত করে, তারপর আমি আল্লাহর
পথে নিহত (শাহীদ) হতে ভালবাসি। (সহীহ
বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
(৯)কোন ব্যক্তি একবার জান্নাতে প্রবেশ করার পর
সারা পৃথিবীর সকল সম্পদ ও সম্মান তার
কতৃত্বে হলেও সে পৃথিবীতে আসার ইচ্ছা ও
কামনা পোষন করবে না কিন্তু শাহীদ তার
ব্যতিক্রম, শাহাদাতের অধিক সম্মান ও
মর্যাদা দেখে অন্তত দশবার পৃথিবীতে এসে শাহীদ
হওয়ার কামনা করবে। শাহাদাতের
মর্যাদা সম্পর্কে এর থেকে অনুভব করা যায়।
ﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻣﺎ ﻣﻦ ﺍﺣﺪ
ﻳﺪﺧﻞ ﺍﻟﺠﻨﺔ ﻳﺤﺐ ﺍﻥ ﻳﺮﺟﻊ ﺍﻟﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻭﻟﻪ ﻣﺎﻓﻲ ﺍﻻﺭﺽ
ﻣﻦ ﺷﻴﺊ ﺍﻻﺍﻟﺸﻬﻴﺪ ﻳﺘﻤﻨﻲ ﺍﻥ ﻳﺮﺟﻊ ﺍﻟﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎﻓﻴﻘﺘﻞ
ﻋﺸﺮ ﻣﺮﺍﺕ ﻟﻤﺎﻳﺮﻱ ﻣﻦ ﺍﻟﻜﺮﺍﻣﺔ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ দাবুনঅ
ﻭﻣﺴﻠﻢ :হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত।
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন,
কোন ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে, তার পৃথিবীর
মধ্যস্থিত সবকিছু হলেও
সে দুনিয়াতে ফিরে আসতে চাবে না কিন্তু শাহীদ
এর ব্যতক্রম। সে (শাহীদের বা শাহাদাতের
সম্মান) দেখার কারনে দুনিয়াতে এসে দশবার নিহত
(শাহীদ) হওয়ার কামনা করবে। (সহীহ বুখারী ও
সহীহ মুসলিম)
(১০)শাহীদদের আত্মা সবুজ রংএর পাখীর
অভ্যন্তরে আল্লাহ রাখেন, তারা জান্নাতের
যথেচ্ছা বিচরন করতে পারেন।
আরশে লটকানো ঝাড়বাতিতে আশ্রয় নেন। আল্লাহ
তাদের দিকে আ্গ্রহভরে জিঙ্গাসা করবেন,
তোমরা কি চাও? তারা জবাব দেবেন, আমাদের
কিছুই চাহিদা নেই, আমরা তো জান্নাতের
যথেচ্ছা বিচরন করতে পারি। এভাবে তিনবার
আল্লাহ শাহীদগনকে জিঙ্গাসা করবেন । শাহীদ গন
যখন দেখবেন যে, তাঁরা চাহিদা পেশ
না করা পর্যন্ত ছাড়া হচ্ছে না, তখন তারা আবেদন
করবেন, হে আমাদের প্রভু, আমরা চাই আমাদের
আত্মা আমাদের দেহে ফিরিয়ে দেয়া হোক,
তাহলে আমরা তোমার পথে দ্বিতীয়বার নিহত
(শাহীদ) হতে পারবো। আল্লাহ যখন দেখবেন,
(শাহাদাতের ইচ্ছা ছাড়া)তাদের আর কোন
চাহিদা নেই, তখন তাদের নিজ অবস্থায়
ছেড়ে দেয়া হবে। (সহীহ মুসলিম)
(১১)শাহাদাতের মাধ্যমে ঋন ছাড়া জীবনের সকল
অপরাধ কাফফারা হয়ে যায়।
ﻋﻦ ﺍﺑﻲ ﻗﺘﺎﺩﺓ ﺭﺽ ﺍﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻗﺎﻡ ﻓﻴﻬﻢ
ﻓﺬﻛﺮﻟﻬﻢ ﺍﻥ ﺍﻟﺠﻬﺎﺩ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻓﻀﻞ ﺍﻻﻋﻤﺎﻝ
ﻓﻘﺎﻡ ﺭﺟﻞ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﺍﺭﺍﻳﺖ ﺍﻥ ﻗﺘﻠﺖ ﻓﻲ
ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻳﻜﻔﺮ ﻋﻨﻲ ﺧﻄﺎﻳﺎﻱ ﻓﻘﺎﻝ ﻟﻪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ
ﺻﻠﻌﻢ ﻧﻌﻢ ﺍﻥ ﻗﺘﻠﺖ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺍﻧﺖ ﺻﺎﺑﺮﻣﺤﺘﺴﺐ
ﻣﻘﺒﻞ ﻏﻴﺮﻣﺪﺑﺮﺛﻢ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻛﻴﻒ ﻗﻠﺖ ؟
ﻓﻘﺎﻝ ﺍﺭﺍﻳﺖ ﺍﻥ ﻗﺘﻠﺖ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻳﻜﻔﺮ ﻋﻨﻲ
ﺧﻄﺎﻳﺎﻱ؟ ﻓﻘﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻧﻌﻢ ﻭﺍﻧﺖ
ﺻﺎﺑﺮﻣﺤﺘﺴﺐ ﻣﻘﺒﻞ ﻏﻴﺮﻣﺪﺑﺮﺍﻻﺍﻟﺪﻳﻦ ﻓﺎﻥ ﺟﺒﺮﺋﻴﻞ ﻗﺎﻝ
ﻟﻲ ﺫﺍﻟﻚ ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ
অনুবাদ :হযরত আবু কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্নিত।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাদের মধ্যে দাড়িয়ে তাদের
সামনে উল্লেখ করলেন য, আল্লাহর পথে জিহাদ
এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান সর্বোত্তম আমল।
একব্যক্তি দাড়িয়ে প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল
(সাঃ), আপনি কি মত পোষন করেন, আমি যদি আল্লাহর
পথে নিহত (শাহীদ) হই, আমার গুনাহ কি সব
কাফফারা হবে? রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাকে বললেন,
হাঁ, তুমি যদি আল্লাহর পথে নিহত (শাহীদ)হও, এমন
অবস্থায় তুমি ধৈয্যধারনকারী,সাওয়াবের
আশাকারী, অগ্রগামী এবং পিছুগামী না হও
(তাহলে তোমার সমস্ত গুনাহ কাফফারা হবে)।
তারপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন,
তুমি কিভাবে বললে? তখন সে ব্যক্তি বললো,
আপনি কি মত পোষন করেন? আমি যদি আল্লাহর
পথে নিহত (শাহীদ) হই, তাহলে কি আমার অপরাধ
সমুহের কাফফারা হবে? জবাবে রাসুলুল্লাহ (সঃ)
বলেন, হাঁ ( যদি তুমি আল্লাহর পথে নিহত (শাহীদ)
হও) এমন অবস্থায় যে, তুমি ধৈয্যশীল, সাওয়াবের
আশাকারী,
অগ্রগামী এবং পিছুহটা ব্যক্তি না হও,তাহলে আল্লাহ
তোমার ঋন ছাড়া সব গুনাহের কাফফারা করবেন।
(সহীহ মুসলিম)
(১২)আল্লাহর পথে নিহত (শাহীদ)হওয়া জীবনের সব
গুনা মাফ করে দেয়।
ﻋﻦ ﻋﺒﺪﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮﻭﺑﻦ ﺍﻟﻌﺎﺹ ﺍﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻌﻢ ﻗﺎﻝ ﺍﻥ
ﺍﻟﻘﺘﻞ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻳﻜﻔﺮ ﻛﻞ ﺷﻴﺊ ﺍﻻﺍﻟﺪﻳﻦ ﺭﻭﺍﻩ
ﻣﺴﻠﻢ
অনুবাদ :হযরত আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আলআাস
(রাঃ) থেকে বর্নিত। প্রিয় নাবী (সাঃ) ইরশাদ
করেছেন, নিশচয় আল্লাহর পথে নিহত (শাহাদাত
বরন করা) ঋন ছাড়া সমস্ত কিছুর
কাফফারা হয়ে যায়। (সহীহ মুসলিম)
(১৩)শাহীদ নিশ্চিত জান্নাত লাভ করবে।
ﻋﻦ ﺍﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺽ ﺍﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻗﺎﻝ ﻳﻀﺤﻚ
ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺍﻟﻲ ﺭﺟﻠﻴﻦ ﻳﻘﺘﻞ ﺍﺣﺪﻫﻤﺎ ﺍﻻﺧﺮ ﻳﺪﺧﻼﻥ
ﺍﻟﺠﻨﺔ ﻳﻘﺎﺗﻞ ﻫﺬﺍ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻴﻘﺘﻞ ﺛﻢ ﻳﺘﻮﺏ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻘﺎﺗﻞ ﻓﻴﺴﺘﺸﻬﺪ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﻭﻣﺴﻠﻢ
অনুবাদ :হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্নিত।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ
তায়ালা দুই ব্যক্তির জন্য হাসেন (খুশী হন)। একজন
অন্যজনকে হত্যা করে, উভয়ে জান্নাতে প্রবেশ
করবে। একজন আল্লাহর পথে লড়াই করে নিহত
(শাহীদ) হয়। তারপর অন্যজনকে আল্লাহ
তাওবা করার তাওফীক দেন। তারপর তাকেও শাহীদ
করা হয়। (সহীহ বুখারী ও সাহীহ মুসলিম)
(১৪)শাহীদ সর্বোচ্চ ও সর্বশ্রেষ্ঠ জান্নাত
জান্নাতুল ফিরদাউস লাভ করবে।
ﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﺭﺽ ﺍﻥ ﺍﻟﺮﺑﻴﻊ ﺑﻨﺖ ﺍﻟﺒﺮﺍﺀ ﻭﻫﻲ ﺍﻡ ﺣﺎﺭﺛﺔ ﺑﻦ
ﺳﺮﺍﻗﺔ ﺍﺗﺖ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻌﻢ ﻓﻘﺎﻟﺖ ﻳﺎﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ
ﺍﻻﺗﺤﺪﺛﻨﻲ ﻋﻦ ﺣﺎﺭﺛﺔ ﻭﻛﺎﻥ ﻗﻴﻞ ﻳﻮﻡ ﺑﺪﺭ ﺍﺻﺎﺑﻪ ﺳﻬﻢ
ﻏﺮﺏ ﻓﺎﻥ ﻛﺎﻥ ﻓﻲ ﺍﻟﺠﻨﺔ ﺻﺒﺮﺕ ﻭﺍﻥ ﻛﺎﻥ ﻏﻴﺮﺫﺍﻟﻚ
ﺍﺟﺘﻬﺪﺕ ﻋﻠﻴﻪ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﻜﺎﺀ ﻓﻘﺎﻝ ﻳﺎﺍﻡ ﺣﺎﺭﺛﺔ ﺍﻧﻬﺎﺟﻨﺎﻥ
ﻓﻲ ﺍﻟﺠﻨﺔ ﻭﺍﻥ ﺍﺑﻨﻚ ﺍﺻﺎﺏ ﺍﻟﻔﺮﺩﻭﺱ ﺍﻻﻋﻠﻲ ﺭﻭﺍﻩ
ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ
অনুবাদ :হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত! হযরত
হারিসা বিন সারাকাহ( রাঃ) এর মা, বারার
কন্যা রুবাইয়া (একদা)প্রিয় নাবীর নিকট
এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ)
আমাকে হারিসার ব্যপারে সংবাদ দিন, তার
সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে যে, বদরের দিন অপরিচিত
একটি তীরের আঘাতে শাহাদাত বরন করেন।
যদি সে জান্নাতী হয়ে থাকে তাহলে আমি ধৈয্যধারন
করবো। আর যদি অন্য কিছু হয়, আমি তার জন্য খুব
কান্নাকাটি করবো। তিনি (আল্লাহর রাসুল (সাঃ)
বলেন, হে হারিসার মা, জান্নাতের মধ্যে অনেক
জান্নাত আছে। নিশ্চয় তোমার পুত্র সর্বোচ্চ
ফিরদাউস নামক জান্নাত পেয়েছে। (সহীহ আল
বুখারী)
(১৫)জিহাদের মাধ্যমে জান্নাত পাওয়া যায়।
সাহাবী (রাঃ) দের অবিলম্বে জান্নাত পাওয়ার
আকাংখা।
ﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﺍﻧﻄﻠﻖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻭﺍﺻﺤﺎﺑﻪ
ﺭﺽ ﺣﺘﻲ ﺳﺒﻘﻮﺍ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ ﺍﻟﻲ ﺑﺪﺭ ﻭﺟﺎﺀ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻮﻥ
ﻓﻘﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻗﻮﻣﻮﺍ ﺍﻟﻲ ﺟﻨﺔ ﻋﺮﺿﻬﺎ
ﺍﻟﻴﻤﻮﺍﺕ ﻭﺍﻻﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﻋﻤﻴﺮﺍﻟﺤﻤﺎﻡ ﺑﺦ ﺑﺦ ﻓﻘﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ
ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻣﺎﻳﺤﻤﻠﻚ ﻋﻠﻲ ﻗﻮﻟﻚ ﺑﺦ ﺑﺦ ﻗﺎﻝ ﻻﻭﺍﻟﻠﻪ
ﻳﺎﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻻ ﺭﺟﺎﺀ ﺍﻥ ﺍﻛﻮﻥ ﻣﻦ ﺍﻫﻠﻬﺎ ﻗﺎﻝ ﻓﺎﻧﻚ ﻣﻦ
ﺍﻫﻠﻬﺎ ﻗﺎﻝ ﻓﺎﺧﺮﺝ ﺗﻤﺮﺍﺕ ﻣﻦ ﻗﺮﺑﻪ ﻓﺠﻌﻞ ﻳﺎﻛﻞ ﻣﻨﻬﻦ
ﺛﻢ ﻗﺎﻝ ﻻﻥ ﺍﻧﺎ ﺣﻴﻴﺖ ﺣﺘﻲ ﺍﻛﻞ ﺗﻤﺮﺍﺗﻲ ﺍﻧﻬﺎ ﻟﺤﻴﻮﺓ
ﻃﻮﻳﻠﺔ ﻗﺎﻝ ﻓﺮﻣﻲ ﺑﻤﺎﻛﺎﻥ ﻣﻌﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻤﺮ ﺛﻢ ﻗﺎﺗﻠﻬﻢ
ﺣﺘﻲ ﻗﺘﻞ ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ
অনুবাদ :হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত।
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এবং সাহাবীগন
(রাঃ) চলতে লাগলেন। এমনকি মুশরিকদের আগেই
বদর ময়দানে পৌছে গেলেন। আর
ওদিকে মুশরিকরা আগমন করলো। তখন রাসুলুল্লাহ
(সাঃ) বললেন, তোমরা জান্নাত লাভের জন্য উঠ,
যে জান্নাতের পরিধি আসমান ও জমীন পরিব্যপ্ত।
হযরত উমাইর আল হাম্মাম (রা) বলেন, বাহ্ বহ্!
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, তোমার বাহ্ বাহ্
বলতে উৎসাহিত করলো কিসে? সে জবাব দিল,
আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, জান্নাতের
অধিবাসি হওয়ার আশা ছাড়া অন্য কোন
উদ্দেশ্যে বাহ্ বাহ্ বলিনি। তখন তিনি বললেন,
নিশ্চয় তুমি জান্নাতের অধিবাসি। তখন
সে সাহাবী (রাঃ) স্বীয় পাত্র
থেকে খোরমাগুলো বেরকরে খেতে শুরু করলেন।
তারপর বললেন, আমার
খোরমাগুলো না খাওয়া পর্যন্ত যদি জীবিত থাকি,
তাহলে সেটা লম্বা জীবন হবে। রাবী বলেন, তার
সাথে থাকা খোরমা ছুড়ে ফেললেন। তারপর যুদ্ধ
করতে লাগলেন। এমনকি নিহত (শাহীদ) হলেন।
(সহীহ মুসলিম)
(১৬)তিন শ্রেনীর লোক প্রথম জান্নাতে প্রবেশ
করবে। শাহীদ তার মধ্যে অন্যতম। ﻋﻦ ﺍﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ
ﺭﺽ ﺍﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻗﺎﻝ ﻋﺮﺽ ﻋﻠﻲ ﺍﻭﻝ ﺛﻼﺛﺔ
ﻳﺪﺧﻠﻮﻥ ﺍﻟﺠﻨﺔ ﺷﻬﻴﺪ ﻭﻋﻔﻴﻒ ﻣﺘﻌﻔﻒ ﻭﻋﺒﺪ ﺍﺣﺴﻦ
ﻋﺒﺎﺩﺓ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻧﺼﺢ ﻟﻤﻮﺍﻟﻴﻪ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ
অনুবাদ :হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্নিত।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, আমার কাছে প্রথম তিন
শ্রেনীর লোক পেশ করা হলো।
যারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। (১)শাহীদ
(২)নিজেকে নিয়ন্ত্রন করে পবিত্র জীবন যাপন
কারী। এবং (৩)যে গোলাম সুন্দরকরে আল্লাহর
ইবাদাত করেছে এবং স্বীয় মুনীবের কল্যান
কামনা করেছে। (তিরমিজী)
(১৭)ঘোড়াকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রাখা অবস্থায়
মৃত্যুবরনকারী শাহীদ বলে গন্য। এই কাজের
প্রত্যেক দিনের যে সাওয়াব। এই কাজের সাওয়াব
প্রতিদিন বাড়তে থাকবে এবং কিয়ামাত পর্যন্ত
চালু থাকবে।
ﻋﻦ ﻓﻀﺎﻟﺔ ﺑﻦ ﻋﺒﻴﺪ ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻗﺎﻝ ﻛﻞ ﻣﻴﺖ
ﻳﺨﺘﻢ ﻋﻠﻲ ﻋﻤﻠﻪ ﺍﻻﺍﻟﺬﻱ ﻣﺎﺕ ﻣﺮﺍﺑﻄﺎ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ
ﻓﺎﻧﻪ ﻳﻨﻤﻲ ﻟﻪ ﻋﻤﻠﻪ ﺍﻟﻲ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﻳﺎﻣﻦ ﻓﺘﻨﺔ
দাবুনঅ
ﺍﻟﻘﺒﺮ :ফুদালা বিন উবাইদ (রাঃ) থেকে বর্নিত।
তিনি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) থেকে বর্ননা করেছেন,
প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির আমল শেষ হয়ে যায়। কিন্ত
যে ব্যক্তি যুদ্ধের জন্য নিজের ঘোড়া প্রস্তুত
রাখা অবস্থায় মারা যায়। তার আমল কিয়ামাত
পর্যন্ত বাড়তে থাকবে।
এবং কবরে ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (আবুদাউদ
ও তিরমিজী)
(১৮)যারা যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে নিরাপদ অবস্থায়
গনীমতের সম্পদ পাবে, তারা জিহাদের পুর্ন
সাওয়াবের তিনভাগের দুই ভাগ কম পাবে। আর
যদি শাহাদাত বরন করে, তাহলে জিহাদের পুর্ন
সাওয়াব পাবে। ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ
ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻣﻦ ﻏﺎﺯﻳﺔ ﺍﻭ ﺳﺮﻳﺔ ﺗﻐﺰﻭ ﻓﺘﻐﻨﻢ
ﻭﺗﺴﻠﻢ ﺍﻻﻛﺎﻧﻮﺍ ﻗﺪ ﺗﻌﺠﻠﻮﺍ ﺛﻠﺜﻲ ﺍﺟﻮﺭﻫﻢ ﻭﻣﺎﻣﻦ ﻏﺎﺯﻳﺔ
ﺍﻭ ﺳﺮﻳﺔ ﺗﺨﻔﻖ ﻭﺗﺼﺎﺏ ﺍﻻﺗﻢ ﺍﺟﻮﺭﻫﻢ ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ
অনুবাদ :হযরত আবদুল্লাহ বিন আমর থেকে বর্নিত।
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরাশাদ করেছেন,
এমন কোন যোদ্ধা বড় বা ছোট দল নেই, যারা যুদ্ধ
করে গনীমাত লাভ করে এবং নিরাপদ থাকে কিন্তু
তারা তাদের সাওয়াবের তিন ভাগের দুই ভাগ
অগ্রিম গ্রহন করেনি। আর যে বড় বা ছোহ
দলটি বিপদে পড়ে শাহী হয়ে যায়। (সহীহ মুসলিম)
(১৯)দুটি ফোটা এবং দুটি প্রভাব আল্লাহর
কাছে সবচেয়ে বেশী প্রিয়।তার মধ্য অন্যতম
হলো আল্লাহর পথে প্রবাহিত রক্তের ফোটা আর
আল্লাহর পথের প্রভাব।
ﻋﻦ ﺍﺑﻲ ﺍﻣﺎﻣﺔ ﺭﺽ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻌﻢ ﻟﻴﺲ ﺷﻴﺊ ﺍﺣﺐ
ﺍﻟﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﻗﻄﺮﺗﻴﻦ ﻭﺍﺛﺮﻳﻦ ﻗﻄﺮﺓ ﺩﻣﻮﻉ ﻣﻦ ﺧﺸﻴﺔ
ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻗﻄﺮﺓ ﺩﻡ ﻳﻬﺮﺍﻕ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺍﻣﺎﺍﻻﺛﺮﺍﻥ ﻓﺎﺛﺮ
ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺍﺛﺮ ﻓﻲ ﻓﺮﻳﻀﺔ ﻣﻦ ﻓﺮﺍﺋﺾ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ
ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ
অনুবাদ :হযরত আবু উমামাহ (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (সাঃ)
থেকে বর্ননা করেছেন, দুটি ফোটা এবং দুটি প্রভাব
থেকে অধিক প্রিয় জিনিষ আল্লাহর কাছে আর কিছু
নেই। (১)আল্লাহর ভয়ে অশ্রুর ফোটা।(২)আল্লাহর
পথে প্রবাহিত রক্তের ফোটা। আর দুটি প্রভাব
হলো আল্লাহর পথে প্রভাব বা চিহ্ন আর আল্লাহর
ফারজসমুহের কোন ফারজ আদায়ের চিহ্ন! (তিরমিজী)
(২০)শাহীদ কে যত কষ্টদিয়ে মারা হোক না কেন,
সে পিপিলিকার কামড়ের মত হালকা ব্যাথা অনুভব
করে।
ﻋﻦ ﺍﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ
ﺍﻟﺸﻬﻴﺪ ﻻﻳﺠﺪ ﺍﻟﻢ ﺍﻟﻘﺘﻞ ﺍﻻ ﻛﻤﺎ ﻳﺠﺪ ﺍﺣﺪﻛﻢ ﺍﻟﻢ
ﺍﻟﻘﺮﺻﺔ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ দাবুনঅ
ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺉ :হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্নিত।
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন,
শাহীদ ব্যক্তি নিহত হওয়ার ব্যাথা অনুভব
করে না কিন্তু ততটুকু অনুভব করে যতটুকু তোমাদের
কোন ব্যক্তি পিপড়ার কামড়ে ব্যাথা অনুভব করে।
(তিরমিজী ও নাসায়ী (চলবে)

About আলোর কাফেলার সঙ্গী

আমি একজন মুবাল্লিগ ... আল্লাহ আমাকে কবুল করুন. আমিন

Posted on অক্টোবর 17, 2014, in শাহাদাতের মর্যাদা. Bookmark the permalink. এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান.

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান