Daily Archives: অক্টোবর 5, 2014

কুরবানীর আনুষাঙ্গিক মাসয়ালা ১২

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানী।

মুহাদ্দিস রবিউল বাশার.

(পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর)

কুরবানীর আনুসঙ্গিক মাসায়েল :

(১)যার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব,
সে তো কুরবানী করবে। আর যার উপর কুরবানী ওয়াজিব
নয়, তারও সাধ্যে কুলালে কুরবানী করা উচিৎ।
তবে ঋনদেনা করে কুরবানী করা উচিৎ না।
(২)নিজের কুরবানী করার পর নিজের পিতা মাতা,
দাদা দাদী, ইত্যাদি নিকটতম আত্মীয়দের পক্ষ
থেকে তাদের সাওয়াব পৌছানোর
লক্ষ্যে কুরবানী করা ভাল। এমনকি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর
ভালবাসায় সাওয়াব পৌছানোর জন্য
কুরবানী করা না জায়েজ নয়।
(৩ )কোন ব্যাক্তি মৃত্যুর সময় কুরবানী করতে অসীয়াত
করলে, সমস্ত গোস্ত দান করা আবশ্যক। অসীয়াতকৃত
না হলে কুরবানীকারী নিজের গোস্তের মত তিন ভাগ
করে একভাগ নিজের পরিবারের জন্য নেওয়া, একভাগ
গরীবদের দেওয়া এবং একভাগ আত্মীয়
প্রতিবেশী বন্ধুবান্ধবদের খাওয়ান মুস্তাহাব।
(৪)গরুতে যে কয়জন অংশীদার, সকলে অংশ
হিসাবে আন্দাজে ভাগকরে নেওয়া সুদের গুনাহ হতে পারে।
ওজন করে অংশ হিসাবে ভাগ করে নিতে হবে। মাথা,
গুর্দা ও দিল অংশ হিসাবে ওজন করে ভাগ করতে হবে।
যেমন ওজন করে সমান সাত ভাগ করতে হবে।
(৫)কুরবানীদাতার গোস্ত তিনভাগ করা মুস্তাহাব।
একভাগ নিজের, একভাগ প্রতিবেশী আত্মীয়
বন্ধুবান্ধবদের এবং আর একভাগ গরীব মিসকীনদের।যেহেতু
আল্লাহ বলেছেন, ﻓﻜﻠﻮﺍ ﻣﻨﻬﺎ ﻭﺍﻃﻌﻤﻮﺍ ﺍﻟﻘﺎﻧﻊ
ﻭﺍﻟﻤﻌﺘﺮ অর্থ অতএব তোমরা করবানীর গোস্ত
থেকে খাও, প্রাপ্তসম্পদে সন্তুষ্ট
এবং প্রার্থীকে খাওয়াও। (সুরা আলহাজ্জ, আয়াত নং )
এই আয়াত থেকে তিনভাগ করার নির্দেশনা পাওয়া যায়।
তিনভাগের একভাগের কম অংশ নিজের পরিবারের জন্য
রাখতে পারে!প্রয়োজনে তিন ভাগের একভাগের কম অংশ
গরীবদের দান করতে পারে। সম্পুর্ন গোস্ত দান করতেও
পারে। তিনভাগ করা ওয়াজিব নয়, মুস্তাহাব।
(৬)কুরবানীর পশু গোস্তের কোন অংশ জবেহ,
কাটাবাছা ও ভুড়ি পরিস্কারের পারিশ্রমিক স্বরুপ
দেওয়া জায়েজ নয়। ভুল করে পারিশ্রমিক স্বরুপ যতটুকু
গোস্ত দিয়ে ফেলবে, ততটুকুর মুল্য দান করা ওয়াজিব।
(৭)চামড়া বিক্রি করলে দান করা ওয়াজিব। যাকাতের
খাতে দান করতে হবে। বিক্রি না করলে পরিস্কার
পরিচ্ছন্ন করে নিজের ব্যাবহারের জন্য রাখতে পারবে।
কোন বন্ধুকে চামড়া হাদিয়া দেওয়া জায়েজ।
(৮) কুরবানীর নিয়াত ও দুয়া মুখে উচ্চারন করা জরুরী নয়।
মনে মনে নিয়াত ও ইচ্ছা করা কুরবানী সহীহ হওয়ার জন্য
যথেষ্ট।মুখে দুআ পড়া মুস্তাহাব।
(৯)নিজ হাতে জবেহ করা মুস্তাহাব।
তা না পারলে কুরবানীর সময় উপস্থিত থাকা উচিৎ। যেমন
হযরত ফাতিমা (রাঃ) কে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নির্দেশ
দিয়েছিলেন। (পুর্বে আলোচনা হয়েছে)
(১০)কুরবানীর গোস্ত অমুসলিমকে দেয়া যায়। কোন কিছুর
পারিশ্রমিক হিসাবে দেয়া কুরবানীর গোস্ত
বা চামড়া দেয়া যাবে না। (চলবে)

কুরবানি ও আকিকা ১১

ঈদলু আদ্বহা ও কুরবানী!

মুহাদ্দিস রবিউল বাশার.

(পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর)

কুরবানীর সময় আকীকা করার হিড়িক পড়ে যায়। তাই এ
ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী কেমন হওয়া উচিত,
সংক্ষিপ্ত ভাবে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
*** আকীকা :
ﻋﻦ ﺳﻠﻤﺎﻥ ﺑﻦ ﻋﺎﻣﺮ ﺍﻟﻀﺒﻲ ﻗﺎﻝ ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ
ﺻﻠﻌﻢ ﻳﻘﻮﻝ ﻣﻊ ﺍﻟﻐﻼﻡ ﻋﻘﻴﻘﺔ ﻓﺎﻫﺮﻳﻘﻮﺍ ﻋﻨﻪ ﺩﻣﺎ
ﻭﺍﻣﻴﻄﻮﺍ ﻋﻨﻪ ﺍﻻﺫﻱ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ
অর্থ সালমান বিন আমির আদদব্বী (রাঃ) থেকে বর্নিত।
তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি,
পুত্র সন্তান জন্মগ্রহন করলে আকীকা করতে হয়। অতএব
তোমরা পুত্র সন্তানের পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত কর
এবং পুত্রের থেকে ময়লা দুর করে দাও। (সইীহ বুখারী)
এ হাদীসে পুত্র সন্তান জন্ম নিলে আকীকার কথা উল্লেখ
আছে। কিন্তু কোন দিন আকীকা করতে হবে উল্লেখ নেই।
কন্যা সন্তান জন্ম নিলে আকীকা করতে হবে কিনা এ
হাদীসে উল্লেখ নেই।
ﻋﻦ ﺍﻡ ﻛﺮﺯ ﻗﺎﻟﺖ ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻳﻘﻮﻝ ﻋﻦ
ﺍﻟﻐﻼﻡ ﺷﺎﺗﺎﻥ ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺠﺎﺭﻳﺔ ﺷﺎﺓ ﻭﻻﻳﻀﺮﻛﻢ ﺫﻛﺮﺍﻧﺎ ﻛﻦ
ﺍﻭ ﺍﻧﺎﺛﺎ ﺭﻭﺍﻩ থ্রঅ
ﺍﺑﻮﺩﺍﻭﺩ উম্মে কুরজ (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন,
আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলতে শুনেছি, পুত্র সন্তানের
পক্ষ থেকে দুটি ছাগল এবং কন্যা সন্তানের পক্ষ
থেকে একটি ছাগল। মদ্দা ছাগল হোক অথবা মেয়ে ছাগল
হোক। (আবুদাউদ)
এ হাদীস থেকে জানা যায়, পুত্র সন্তানের জন্য দুটি ছাগল
এবং কন্যা সন্তানের একটি ছাগল আকীকা করতে হবে।
ছাগল মেয়ে হোক বা মদ্দা হোক সমাস্যা নেই।
ﻋﻦ ﺍﻟﺤﺴﻦ ﻋﻦ ﺳﻤﺮﺓ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﺍﻟﻐﻼﻡ
ﻣﺮﺗﻬﻦ ﺑﻌﻘﻴﻘﺘﻪ ﺗﺬﺑﺢ ﻋﻨﻪ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﺴﺎﺑﻊ ﻭﻳﺴﻤﻲ
ﻭﻳﺤﻠﻖ ﺭﺍﺳﻪ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺣﻤﺪ ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﺍﺑﻮﺩﺍﻭﺩ
ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺉ
অর্থ হাসান (রঃ )সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ননা করেছেন।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, পুত্র সন্তান আকীকার
মাধ্যমে বন্দক থাকে! পুত্র সন্তানের পক্ষ থেকে সপ্তম
দিন আকীকা জবেহ করা হবে, পুত্রের নাম
রাখা হবে এবং তার মাথা মুন্ঢন করা হবে। (আহমাদ,
তিরমিজী, আবুদাউদ ও নাসায়ী)
বন্দকী দ্রব্যের দ্বারা যেমন উপকার লাভ করা যায় না,
অনুরুপভাবে আকীকা নাদিলে সেই পুত্রের মাধ্যমে উপকার
লাভভ করা যাবে না। সপ্তম দিন আকীকা করতে হবে।
সন্তানের নাম রাখতে হবে। তার মাথা মুন্ঢন করতে হবে।
ﻋﻦ ﻋﻠﻲ ﺑﻦ ﺍﺑﻲ ﻃﺎﻟﺐ ﻗﺎﻝ ﻋﻖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ
ﻋﻦ ﺍﻟﺤﺴﻦ ﺑﺸﺎﺓ ﻭﻗﺎﻝ ﻳﺎﻓﺎﻃﻤﺔ ﺍﺣﻠﻘﻲ ﺭﺍﺳﻪ
ﺗﺼﺪﻗﻲ ﺑﺰﻧﺔ ﺷﻌﺮﻩ ﻓﻀﺔ ﻓﻮﺯﻧﺎﻩ ﻓﻜﺎﻥ ﻭﺯﻧﻪ ﺩﺭﻫﻤﺎ
ﻭﺑﻌﺾ ﺩﺭﻫﻢ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ
অর্থ হযরত আলী বিন আবুতালিব থেকে বর্নিত।
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ)হাসান (রাঃ) এর পক্ষ
থেকে একটি বকরী ছাগল আকীকা করেছিলেন।
এবং তিনি বলেন, হে ফাতিমা, তুমি তার মাথা মুন্ডন
কর,তুমি তার চুলের ওজনে রুপা সাদাকাহ কর। তারপর
আমরা ঐ চুল ওজন করলাম। তার চুলের ওজন হয়েছিল এক
দিরহামের কিছু বেশী। (তিরমিজী)
এই হাদীসে পুত্র সন্তানের পক্ষ থেকে একটি ছাগল
এবং চুলের ওজনে রৌপ্য সাদাকাহ করার নির্দেশ আছে।
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺍﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻋﻖ ﻋﻦ ﺍﻟﺤﺴﻦ
ﻭﺍﻟﺤﺴﻴﻦ ﻛﺒﺸﺎ ﻛﺒﺸﺎ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻮﺩﺍﻭﺩ ﻭﻋﻨﺪ ﺍﻟﻨﺴﺎﺉ
ﻛﺒﺸﻴﻦ ﻛﺒﺸﻴﻦ –
অর্থ হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিত।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) হাসান (রাঃ) এবং হুসাইনের (রাঃ)পক্ষ
থেকে একটি একটি করে ছাগল আকীকা করেছিলেন।(আবুদা
উদ)
নাসায়ী শরীফের বর্ননায় দুটি দুটি করে ছাগল
আকীকা করেন বলে উল্লেখ আছে।
ﻋﻦ ﻋﻤﺮﻭﺑﻦ ﺷﻌﻴﺐ ﻋﻦ ﺍﺑﻴﻪ ﻋﻦ ﺟﺪﻩ ﻗﺎﻝ ﺳﺌﻞ
ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻋﻦ ﺍﻟﻌﻘﻴﻘﺔ ﻓﻘﺎﻝ ﻻﻳﺤﺐ ﺍﻟﻠﻪ
ﺍﻟﻌﻘﻮﻕ ﻛﺎﻧﻪ ﻛﺮﻩ ﺍﻻﺳﻢ ﻭﻗﺎﻝ ﻣﻦ ﻭﻟﺪ ﻟﻪ ﻭﻟﺪ
ﻓﺎﺣﺐ ﺍﻥ ﻳﻨﺴﻚ ﻋﻨﻪ ﻓﻠﻴﻨﺴﻚ ﻋﻦ ﺍﻟﻐﻼﻡ ﺷﺎﺗﻴﻦ ﻭﻋﻦ
ﺍﻟﺠﺎﺭﻳﺔ ﺷﺎﺓ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻮﺩﺍﻭﺩ থ্রঅ
ﻭﺍﻟﻨﺴﺎ আমর বিন শুয়াইব তার পিতা থেকে, তিনি তার
দাদা থেকে বর্ননা করেন! তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ)
কে আকীকা সম্পর্কে জিঙ্গাসা করা হয়।তিনি বলেন,
নিশ্চয় আল্লাহ” উকুক ” ভালবাসেন না। (রাবী বলেন)
তিনি আকীকার নাম পছন্দ করেন নি। এবং বললেন, যার
সন্তান হয়েছে, অতঃপর সন্তানের পক্ষ
থেকে কুরবানী করতে ভালবাসলে,পুত্রের পক্ষ
থেকে দুটি বকরী এবং কন্যার পক্ষ থেকে একটি বকরী ছাগল
কুরবানী করবে। (আবুদাউদ ও নাসাঈ)
বর্তমান হাদীসের শিক্ষা অনুযায়ী সপ্তম দিন
আকীকা না করে সন্তান প্রসব হওয়ার ষষ্টদিন ছয়রাত
করার বিজাতীয় প্রথা চালু হয়ে গেছে। যা কুসংস্কার ও
বিজাতীয় অনুকরন। যা বর্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের
উচিৎ!
সপ্তম দিন আকীকা করা সুন্নাহ ও মুস্তাহাব পদ্ধতি।
শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলাবী (রাঃ) এর
গবেষনা হলো, আল্লাহ তায়ালা সন্তানের মত নিয়ামাত
দেওয়ায় তাঁর শুকরিয়া আদায় করা এবং সন্তানের
পরিচিতির জন্য আকীকা শরীয়াত সিদ্ধ করা হয়েছে।
সন্তান জন্মের সপ্তম দিন আকীকা করাই মুস্তাহাব
বা সুন্নাহ। একান্ত সমাস্যায় চৌদ্দ বা একুশ দিনের দিন
আকীকা করা যেতে পারে। কিন্তু বিলম্ব
করতে করতে কুরবানীর দিন পর্যন্ত
গড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক সময় দেখা যায়,
কুরবানী না করে আকীকা করা হয়। অথচ সহীহ
হাদীসে আছে, করবানীর আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়
আমল হলো কুরবানী।সবচেয়ে প্রিয় আমল বাদ
দিয়ে আকীকা করা হয়। অসচ্ছল হলে আকীকার প্রয়োজন
নেই। যখন পশু একটা আছে,তখন তুলনামুলক উত্তম কাজ
করাই ভাল।ঐ পশুর মাধ্যমে আকীকা করতে হয়,
তাহলে অন্য দিন করাই ভাল।
কুরবানীর দিন আকীকা দেওয়ার নিয়ম চালু হওয়ায় সপ্তম
দিনে আকীকা করা সুন্নাহ, এই সুন্নাহ উঠে যাচ্ছে এবং ছয়
রাতের মত বিজাতীয় কুসংস্কার চালু হচ্ছে বা হতে চলেছে।
সুন্নাহ বা মুস্তাহাব চালুর স্বার্থে কুসংস্কার ত্যাগ
করা উচিত।
*** আকীকার মাসয়ালা :
(১) আকীকা করা সুন্নাহ বা মুস্তাহাব। আল্লাহর
সন্তুষ্টি কামনায়, তাঁর দেওয়া নিয়ামাত সন্তান লাভকরার
শুকরিয়া আদায় স্বরুপ এবং বৈধ সন্তান পরিচয় করার
মানষিকতায় আকীকা করা সুন্নাহ বা মুস্তাহাব।
(২)আকীকা সপ্তম দিনে হওয়া সুন্না্হ ও মুস্তাহাব।
সপ্তম দিনে না করতে পারলে চৌদ্দদিনের দিন, তাও
না পারলে একুশ দিনের দিন আকীকা করা যেতে পারে।
তাও সম্ভব নাহলে জীবনের কোন এক সময়
করা যেতে পারে।
(৩)কুরবানীর সময় দিলেও আদায় হবে। তবে সপ্তম দিনের
সুন্নাহ পালনের সাওয়াব থেকে বঞ্চিত থেকে যাবে এবং ছয়
রাত চালুর পিছনে গুনাহ থেকে বাচবে না।
(৪)সন্তান মারা যাওয়ার পর আকীকা দেওয়ার নিয়ম নেই।
(৫)পুত্র সন্তানের জন্য দুটি ছাগল,
ভেড়া বা দুম্বা আকীকায় দেওয়া ভাল। অভাবে একটা দিলেও
আদায় হবে। কন্যা সন্তানের জন্য একটি।
(৬)আকীকার গোস্ত তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজের
পরিবার, দ্বিতীয় ভাগ গরীব মিসকীনদের এবং তৃতীয় ভাগ
আত্মীয় স্বজন,পাড়াপ্রতিবেশী ও বন্ধুবান্ধবদের জন্য।
সবচেয়ে উত্তম হলো বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন ও
পাড়াপ্রতিবেশীদের, গরীবদের সহ আকীকার গোস্ত
দিয়ে একসাথে বসে খাওয়া দাওয়া করা এবং সন্তানের
পরিচয় করিয়ে দেয়া।
(৭)একটা গরুতে একটি আকীকা হবে। আবার গরুতে সাত
ভাগের দুই ভাগ পুত্র সন্তানের জন্য এবং সাত ভাগের এক
ভাগ কন্যা সন্তানের জন্য। সাত ভাগের কোন ভাগ যেন
গোস্ত খাওয়ার অংশ হিসাবে না নেয়।
(চলবে)