Category Archives: হায়রে বিয়ে! হায়রে লজ্জা !
হায়রে বিয়ে! হায়রে লজ্জা ! (পর্ব- ২)
হায়রে বিয়ে! হায়রে লজ্জা ! (পর্ব- ২)
ঝুমানাদের ক্লাসে দুজন নতুন নতুন প্রেমে
পড়েছে। দুজনই মাশাল্লাহ দেখতে শুনতে
সেরকম। সবাই জানে তাদের খবর। তো সেদিন
ইফতার পার্টির আয়োজন নিয়ে কথা হচ্ছিলো সবার
সাথে। খাবারের আইটেম আর পরিমাণ দেখে
একজন বলছিল – এতো রকম খাবার! এটা তো পুরা
বিয়ের আয়োজন মনে হচ্ছে! তার সামনেই সেই
জুটির মেয়েটি দাড়িয়ে ছিল। তার মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি
চাপল, ঝুমানা বলল – তাহলে এক কাজ করি! ওদের ২
জনের বিয়ে দিয়ে দেই। এভাবে প্রেম করে
ঘুরে বেড়ানোর চেয়ে বিয়ে করে যা খুশি
করুক, কি বলিস তোরা? হায়! হায়! ঝুমানার প্রস্তাব দেখি
কেউ সমর্থন করেনা। একজন তো মুখ বাঁকিয়ে
বলেই বসলো – হ! খাইয়া কাম নাই! এই বয়সে বিয়ে
করবে! জীবনটাই নষ্ট।
এটা আমাদের সমাজের খুব সাধারণ একটা চিত্র। এটা
এমন এক সমাজ যেখানে বিয়েকে সবচেয়ে
কঠিন একটা সামাজিক প্রথায় পরিণত করা হয়েছে আচার
আনুষ্ঠানিকতার বেড়াজালে। আর এমন সমাজেই
প্রেম করা বিয়ে করার চেয়ে ১০১ গুন বেশি সহজ
বলে পরিগনিত হওয়াটাই কি স্বাভাবিক নয়?
গত পর্বে ছেলেদের সুন্দরের প্রতি অন্ধ
ভালবাসার কাহিনী ও কুফল বলেছিলাম। এ পর্বে
মেয়েদের কিছু বলবো।
মেয়েরা জন্মগতভাবেই নিজেদের নিয়ে সবসময়
অনিশ্চয়তা বোধ করে। সেটা সামাজিক, পারিবারিক,
শারীরিক, বিভিন্ন কারনেই হতে পারে। তাই, নিজের
সঙ্গী হিসেবে নিজের থেকে বেশি যোগ্য
ব্যক্তিকেই বেছে নেয়। এই যোগ্য ব্যক্তি
বাছাইয়ের প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি যে
বৈশিষ্ট্যটা ছেলেদের যোগ্যতা মাপতে ব্যাবহার
হয় তা হল ব্যাংকে কত আছে? কত বড় চাকরী
করে? নামের শুরুতে কিংবা শেষে ডাক্তার
ইঞ্জিনিয়ার পদবী লাগানো আছে কিনা? কিংবা
ছেলের বাপের কত বিশাল বাড়ি আছে। আরও একটা
শর্তও ইদানিং কন্যাকুল খুব গুরুত্ব দেয়, সেটা হল –
ছেলের দাড়ি নেই তো আবার! হুজুর বিয়ে
করবে কে? খ্যাত! গাইয়া ইত্যাদি ।
একবার এক ডাক্তার আপুকে দেখতে এলো
ছেলে পক্ষ। আপু আবার শর্ত দিয়েছিলো উনি
দাড়িওয়ালা কাউকে বিয়ে করবেননা। কিন্তু কথায়
আছে না – যে যা নিন্দে, তার গায়ে তা বিন্দে!
আপুকে যে ভাইয়া দেখতে এলো তিনি আবার
দাড়িওয়ালা। ছেলেমেয়েকে একান্তে কথা বলার
সুযোগ দিয়ে মুরব্বীরা চলে গেলো।**
দুজনের কথোপকথন শুরু হওয়ার আগেই আপু
ভাইয়ার দিকে এক নজর দেখেই মুখ ফোঁসকে
বলে ফেললেন- গবেট!
হায় হায়! সেই দিন তো মহা গ্যাঞ্জাম! ভাইয়া মনের
দুঃখে শেষ! তাকে গবেট বলায়। যদিও
পরবর্তীতে এই গবেট এর মালায় ই গলা দিতে
হয়েছিলো।
যাই হোক, আজকের ঘটনা দিয়ে শুরু করা যাক ।
ঘটনা – ২
কৈশোর থেকেই নোমান কিছুটা ইঁচড়ে পাকা
স্বভাবের। মা অনেক চোখে চোখে রাখলেও
এতো দুরন্ত ছেলেকে সামলে রাখা সম্ভব হয়নি।
ফলশ্রুতিতে যা হওয়ার তাই হয়েছে। ক্লাসে
ছেলের চেয়ে মেয়ে বন্ধুই তার বেশি। চার্মিং
ইমেজের জন্য মেয়েদের কাছে সে বেশ
পপুলার। আজ ওই পাশের বাসার মেয়ে ডাক দেয়
তো কাল ছাত্রী পারফিউম গিফট করে, পরশু এলাকার
ছোট বোন প্রপোজ করে। মোট কথা,
কৈশোর থেকে যৌবনে আসতে তার জীবন
কখনোই শূন্য ছিলনা। কিন্তু কারো প্রতি ই সে
ওইরকম টান বোধ করতনা। সবই ছিল সময় কাটানোর
ছল।
অবশেষে এমন একজন তার জীবনে এসেই
গেলো। পরিচয় ফেসবুকে, মেয়েটার ছবি
দেখেই নোমান কাত হয়ে গেছে। মেয়েটার
নাম ইশিতা। এরপর প্রায় ই তারা ঘুরতে যায়, একসাথে
খাওয়া, সিনেমা দেখা আরও কতো কি! এখন আর
সে আগের মতো ১০০ টা মেয়ের পিছু ঘোরে
না। নোমানের জগত ইশিতাকে ঘিরেই তৈরি
হয়েছে। এর মধ্যেই নোমান ইশিতা বিয়ে করে
ফেলে কাউকে না জানিয়ে।
কিছুদিন পর নোমানের মা মারা যায়। বাবা বিয়ে করে
নতুন সংসার পাতে। নোমানেরও পড়া শেষ হয়ে
চাকরী করার পালা। ছন্নছাড়া সংসারে নিজের জীবন
গুছিয়ে নেওয়ার কোন উপায় নেই। ইশিতাকে
খাওয়ানোর সামর্থ্যও তার নেই। কোনমতে একটা
চাকরী জুটে যায় নোমানের। প্রাইভেট থেকে
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে যেমন বেতন পাওয়া যায়, বেতন
তেমনই। এই বেতন দিয়ে বাসা ভাড়া খাওয়া দাওয়া আর
মাঝে মাঝে ছোট ভাই বোনদেরকে কিছু হাত
খরচই দেওয়া যায়, বউ পালা যায়না।
ওদিকে ইশিতার বাবা সুপ্রিম কোর্টের বড় উকিল।
কীভাবে যেন তিনি সব জেনেছেন। তিনি এমন
চালচুলাহীন ছেলের সাথে কিছুতেই মেয়ের
বিয়ে দিবেন না। ইশিতার মা ইশিতাকে অনেক বুঝায়।
এমন ছেলেকে বিয়ে করে সে ভালো
থাকতে পারবে না, এমন আয়েসি জীবন যাপন
করতে পারবেনা।
বুঝাতে বুঝাতে ইশিতার চোখে একদিন বাস্তবতা ধরা
দেয়। যেদিন দেখে ঘুরতে যাওয়ার সময়
নোমানের পকেটে সামান্য সি এন জি ভাড়াও নেই।
নোমান ইশিতাকে বলে মাসের শেষে তার হাতে
একটু টানাটানিই থাকে। এভাবে বেশ কিছুদিন ঘোরার
পর ইশিতার আর ভাল লাগে না। এমন জীবনে সে
অভ্যস্ত নয়। আর নোমান আগে এমন ছিল না।
আগে সে দু হাত ভরে খরচ করতো ইশিতার জন্য।
আর এখন কেমন যেন কিপটে হয়ে গেছে।
আর তাছাড়া নোমানদের ভাঙ্গা বাড়িটাও তার কাছে
নিজে থাকার জন্য বড় বেমানান ঠেকে ।
ইশিতার খালাতো ভাই শুভ থাকে আমেরিকায়। সে
দেশে এসেছে বিয়ে করতে। ইশিতার বাবার খুব
পছন্দ শুভকে। শুভর সাথে ইশিতার বিয়ে ঠিক হয়ে
যায়। ওদিকে নোমানও তালাক দেয় না ইশিতাকে।
কিন্তু যে চলে যেতে চায়, তাকেই বা কীভাবে
ধরে রাখা যায়। তাই নোমান স্ব উদ্যোগে
ইশিতাকে তালাক দিয়ে দেয়। ইশিতার বিয়ে হয়ে যায়।
আর নোমান পড়ে রয় পিছনে নিঃসঙ্গ বালুকায়।
ঘটনা – ৩
ইয়াসমিন আপুর বিয়ে ঠিক হয়েছিলো এ মাসের ২৬
তারিখ। কিন্তু বিচিত্র কারনে তিনি বিয়ে ভেঙ্গে
দিয়েছেন। ৩৩ বছর বয়সে ঠিক হয়ে যাওয়া বিয়ে
ভেঙ্গে দেওয়া মূর্খতাই বটে। পাড়া প্রতিবেশী
সকলেই অনেক বুঝিয়েছে। কিন্তু তার এক কথা –
ছেলে নাকি তার যোগ্য নয়। ভাইয়ার একটা ছোট
ফটোকপির দোকান আছে, এক কথায় বলা যায় ঢাকা
শহরে পরিচয় দেওয়ার মতো বড় কোন পরিচয়
নেই। ইয়াসমিন আপুও যে খুব আহামরি সুন্দরী তাও
নয়। কালো শুকনা তাল গাছের মতো লম্বা একজন
মানুষ। বিয়ে দেওয়ার
Read the rest of this entry
লেখা-পড়া শেষ করে বিয়ে করার বিষয়ে ড. বেলাল ফিলিফস্ যা বললেন।
পড়াশোনা শেষ করে তবেই বিয়ে করার সংস্কৃতি।
বিলাল ফিলিপস যা বলেছেন
এক.
“বয়সে যারা নবীন তাদেরকে তাদেরই মতন
নবীনদের বিয়ে করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বর্তমান মুসলিম বিশ্বে সন্তানদেরকে বলা হয় তাদের পড়াশোনা আগে শেষ করতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, অন্যান্য ডিগ্রি ইত্যাদি শেষ করে তারপর বিয়ে করতে। এই কারণে অনেক সন্তানকে তাদের জীবনের সবচাইতে কঠিন সময়টা অবিবাহিত অবস্থায় পার করতে হয়। যখন তারা ত্রিশের কাছাকাছি পৌঁছে, তখন তারা বিয়ে করে। তাহলে ১৩ থেকে ৩০ বছরের এই প্রায়বিশটি বছর কী ঘটে? কী হয় তাদের জীবনে? আর এই ভুলের জন্য দায়ী কে? প্রাথমিকভাবে, এটা বাবা-মায়ের দোষ। যখন সন্তানরা বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছে যায় এবং শারীরিকভাবে সাবালক হয় তখন তাদের সকল কাজের দায়ভার অবশ্যই তারাই বহন করে, কিন্তু বাবা-মায়েরাও তাদের এই বিশাল পাপের ভাগীদার হয় তাদেরকে এই অবস্থাটি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য না করার জন্য।”
দুই.
“বর্তমান সময়ে ২০-২২ বছরের কোন যুবক যদি বিবাহ করতে চাই তাহলে সমাজ বলবে ছেলেটার লাজ-লজ্জা সব গেল । কিন্তু ২০-২২ বছরের কোনযুবক কে পার্কে/রিক্সায় কোন মেয়ের সাথে অপ্রকৃত অবস্থায় দেখা গেলে তখন সমাজের লাজ/লজ্জা যায় না । কারন সমাজের চোখে সেটা আধুনিকতা । যে আধুনিকতা একজন যুবকের বেহায়্যাপনা থেকে বাঁচার আকুতি শুনতে চাইনা কিন্তু
একজন যুবক কে একজন যুবতীর সাথে লুতুপুতু করার অনুমতি দেয় সে আধুনিকতাকে আমি ফ্রি কিক মারি ।
একজন ২২ বছরের যুবক তার মোটামুটি আয়ের উপর ভরসা করে যখন বাসায় বিবাহ করার ইঙ্গিত দিবে তখন বাসায় ছেলেটা কে নির্লজ্জ ভাববে। কিন্তু রাত ১ টার পরও যখন ঐ ছেলের রুম থেকে ফোনে কথালাপের শব্দ শোনা যাবে তখন অভিভাবকরা ভাববে ছেলে বড় হয়েছে , ছেলে কে স্বাধীনতা দেয়া দরকার । ছেলে বিয়ে করার জন্য বড় হয়নি কিন্তু ঠিকই ফালতু-হারাম কাজের জন্য বড় হয়েছে । একসময় দেখা যায়, ঐ ফালতু কাজের জন্য বড় হওয়া ছেলেটি মা-বাবার মুখে চুন-কালি মেখে পালিয়ে বিয়ে করে । আর বিয়ে করতে চাওয়া আল্লাহ ভীরু সেই ছেলেটি ঠিকই মা-বাবার হৃদয় নরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে থাকে ।এই হচ্ছে আমাদের কুলুষিত সমাজ ব্যবস্থা !”
তিন.
বিয়ের কথা আসলেই আপনি টাকার কথা বলেন, কিন্তু আমি জানি, খুব ভালোভাবেই জানি যে শুধু টাকার জন্য আমাদের কারো বিয়েই আটকে থাকে না.. এটা আসলে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার.. আমরা বিয়েকে তেমন জরুরি ভাবি না.. আমাদের কাছে মনে হয় “থাক, একটা প্রেম তো আছেই, গার্লফ্রেন্ড তো আছেই, কয়টা মেয়ে বান্ধবী তো আছেই.. আপাতত ওতেই কাজ চলবে” বাবা-মাও বিয়ে বিষয়টা কে গুরুত্বের সাথে নেন না.. কেন ভাই বিয়ে করতে কত টাকা লাগে? বিয়ে করতে যত না টাকা লাগে, তারচে বেশি টাকা খরচ করি আমরা অনুষ্ঠানে, শাড়ি-গয়না কিনতে, ডিজে পার্টি ভাড়া করতে! বিয়ে করতে হলে যে এইসব করা লাগে কোথায় বলা আছে? লোকদেখানো কাজকর্ম করতে যেয়ে শেষে বিয়েটাই পিছিয়ে যায়! এই যে বিয়ের কথা আসলেই আমরা টাকার দোহাই দেই, অথচ, আমাদের জীবনে সবকিছুই স্বাভাবিক গতিতে চলছে.. আমরা মোবাইল চালাইতে পারি, ল্যাপটপ কিনতে পারি! আরো টাকা পেলে হয়ত একটা গাড়ি কিনব, তবু বিয়ের কথা ভাবব না! আল্লাহ তা’আলা কি বলসেন,
সেটাও আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখি না.. আমরা কেমন মুসলিম হলাম?আল্লাহ বলেন, বিয়ে করলে আমাদের রিজিক বৃদ্ধি করে দিবেন [সুরাহ নুর: ৩২]
আমরা তো কুর’আনের সেই আয়াতে সন্দেহ প্রকাশ করতে পারি না.. যদি করি, তাহলে সেটা খুব ভয়ঙ্কর! খুবই ভয়ঙ্কর.. আমরা মুসলিম.. অল্প কয়দিনের জন্য আমরা এই দুনিয়া তে আসি, এরপর বিদায় নেই.. জীবনে যেন সুন্দর ভাবে চলতে পারি এইজন্যই আল্লাহ আমাদের জন্য কিছু নিয়ম- নীতি দিসেন, ইসলাম দিসেন.. আমাদের উচিত এই সমাজকে অনুসরণ না করে, এর ভ্রান্ত-দুষিত নিয়মগুলো মেনে নিজেদের উপর অত্যাচার না করা ।
আলী রা এর যখন বিয়ে হয়, তখন উনার মোহরানা দেয়ার টাকা টা পর্যন্ত ছিল না.. অথচ তার বিয়ে হলো শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির কন্যার সাথে! আর তার স্ত্রী হবে জান্নাতে নারীদের নেত্রী! বিয়ে করতে অনেক টাকা লাগে না.. যেটা লাগে সেটা হচ্ছে তাওয়াক্বুল, আল্লাহর উপর ভরসা।
চার.
Late marriage-দেরীতে বিবাহ”-ইসলামের
বিরুদ্ধে শতাব্দীর এক জঘন্য ষড়যন্ত্র!!
কুফফাররা অনেক চিন্তা ভাবনা করে দেখলো যে, শুধু অস্ত্র দিয়ে মুসলিমদের হত্যা করে পরাজিত করা সম্ভব নয় কেননা মুসলিমরা তো আল্লাহর পথে শহীদ হওয়াকেই তাঁদের চূড়ান্ত সফলতা মনেকরে। তাছাড়া যাদের একমাত্র লক্ষই হচ্ছে আল্লাহর পথে শহীদ হওয়া আপনি তাঁদেরকে কিভাবে থামাবেন??
তাই কুফফাররা চিন্তা করলো মুসলিম যুবকদের নৈতিকভাবে ধ্বংস করে দিতে হবে কেননা নৈতিকতাই হচ্ছে মুসলিম যুবকদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। এ অস্ত্রের জোরেই তারা আল্লাহর পথে কুফফারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তাই তারা প্রথমে মুসলিম দেশগুলোতে বিবাহের উপর একটি নির্দিষ্ট সময় সীমা বেধে দিলো যে, এর আগে বিয়ে করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যদিও একটি ছেলে এবং মেয়ে এই নির্দিষ্ট সময় সীমার অনেক আগেই বিবাহের উপযুক্ত হয়। সেই সাথে তারা এমন শিক্ষা ব্যবস্থাও চালু করলো যে, এই শিক্ষা
ব্যবস্থায় একটা ছেলে চাইলেও ২৮-৩০ বছরের আগে উপার্জনক্ষম হতে পারবেনা। যদিও একটা ছেলে ১৫ বছর বয়সেই যৌবনপ্রাপ্ত হয়। তাহলে একটি ছেলে যৌবনপ্রাপ্ত হওয়ার পরের ১৫ টি বছর
কিভাবে পাড়ি দিবে??
এই জন্যে কুফফাররা ব্যাপকহারে পর্ণ ছবি ছড়িলে দিলো, বিবাহপূর্ব প্রেম ভালবাসাকে ছড়িয়ে দিলো। যুবকদের যুবতীদেরকে একটা মেসেজ দিলো যে, “এই নাও পর্ণ ছবি। এগুলো দেখো। এগুলো দেখে উত্তেজিত হও। উত্তেজিত তো হয়েছো কিন্তু এখন কি করবে?? বিয়ে তো করতে পারবেনা। তাহলে প্রেম করো, প্রেম করে প্রেমিকার সাথে সেক্স করো, যৌবনের চাহিদা মেটাও।
আর যে যুবক প্রেম করবে, পর্ণ দেখবে, প্রেমিকার সাথে অবৈধ সেক্স করবে সেই যুবক কি কখনো আল্লাহর রাস্তায় কুফফারদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার কথা চিন্তা করবে??
কন্মিশকালেও না। এভাবেই কুফফাররা মুসলিম যুবকদেরকে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে, আমাদের যুবকদের জীবনী শক্তিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
আসুন কুফফারদের এই গভীর চক্রান্তকে ধ্বংস করে দেই, সমাজে Early marriage এর বিপ্লব ঘটাই।
পাঁচ.
মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক বলেনঃ
“সন্তানদের জন্য বিয়েকে সহজ করে দেয়া
আমাদের জন্য ইবাদাত স্বরূপ। আর তাদের জন্য বিয়েকে কঠিন করে ফেলা একটি পাপ, যা অন্যান্য আরো অনেক পাপের জন্ম দেয়।”
“ছেলেদের ক্ষেত্রে বিয়ের বয়সটা
আসলে কত হওয়া উচিত?” Sayeed Rageah কে এই প্রশ্ন করা হয়েছিল। উনি উত্তর দিয়েছিলেন-
“বিয়ের সাথে বয়সের সম্পর্ক নেই। বিয়ের
সাথে সম্পর্ক আছে দায়িত্ববোধের। আমি এমন সব ভাইকেচিনি যাদের কাছে আমার মেয়ে দেয়া তো দূরের কথা, একজোড়া জুতার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিয়েও আমি ভরসা পাইনা।
আবার ১৫-১৬ বছরের এমন ভাইও আছে যাদেরকে পুরো মসজিদের দায়িত্বও যদিদিয়ে যাই তা সে সুষ্ঠু ভাবে পালন করতে পারবে।”
সংকলনে – বিবাহ একটি উত্তম বন্ধুত্ব ডেস্ক