Monthly Archives: সেপ্টেম্বর 2014

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানি ৪

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানী।

মুহাদ্দিস রবিউল বাশার.

(পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর)

কুরবানীর ইতিহাস মানব ইতিহাসের মত
প্রাচীন। অবশ্য কুরবানীর ধরন ছিল বিভিন্ন।
কুরবানীর প্রথম ইতিহাস হযরত আদম(আঃ)ও
হাওয়া (আঃ)এর পুত্রদ্বয়
হাবীল ও কাবীলের কুরবানী। হাবীলের
কুরবানী খোদাভীতির ভিত্তিতে হওয়ায় আল্লাহ
কবুল করেন। পক্ষান্তরে কাবীলের
কুরবানী ইখলাস ও খোদাভীতি মুলক না হওয়ায়
আল্লাহ কবুল করেননি। কুরবানী কবুল হওয়ার
চিহ্ন ছিল আসমান থেকে আগুন এসে যার
কুরবানী ভষ্যিভুত করত, বিশ্বাস করা হতো, তার
কুরবানী কবুল হয়েছে, যার কুরবানী ভশ্মীভুত করত
না, বিশ্বাস করা হতো তার কুরবানী কবুল হয়নি।
এ ঘটনা সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
ﻭﺍﺗﻞ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﻧﺒﺄ ﺍﺑﻨﻲ ﺍﺩﻡ ﺑﺎﻟﺤﻖ ﺍﺫ ﻗﺮﺑﺎ ﻗﺮﺑﺎﻧﺎ
ﻓﺘﻘﺒﻞ ﻣﻦ ﺍﺣﺪﻫﻤﺎ ﻭﻟﻢ ﻳﺘﻘﺒﻞ ﻣﻦ ﺍﻻﺧﺮ ﻗﺎﻝ
ﻻﻗﺘﻠﻨﻚ ﻗﺎﻝ ﺍﻧﻤﺎ ﻳﺘﻘﺒﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺘﻘﻴﻦ
অর্থ আর তুমি তাদেরকে আদমের দুই পুত্রের বাস্তব
অবস্থা পাঠ করে শুনাও।যখন তারা উভয়েই কিছু
উৎসর্গ নিবেদন করেছিল, তখন তাদের একজনের
উৎসর্গ গৃহিত হয়েছিল এবং অপর জনের গৃহিত
হয়নি! সে বলল, আমি অবশ্যই
তোমাকে হত্যা করব। সে বলল, নিশ্চয় আল্লাহ
আল্লাহভীরুদের নিকট থেকে কবুল করেন। (সুরা আল
মাইদাহ, আয়াত নং ২৭)
কুরবানী কবুল হওয়ার নিয়ম সম্পর্কে পবিত্র
কুরআনে আল্লাহ বলেন, ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻬﺪ
ﺍﻟﻴﻨﺎ ﺍﻻ ﻧﺆﻣﻦ ﻟﺮﺳﻮﻝ ﺣﺘﻲ ﻳﺎﺗﻴﻨﺎ ﺑﻘﺮﺑﺎﻥ ﺗﺎﻛﻠﻪ ﺍﻟﻨﺎﺭ
অর্থ (১৮৩)সে সমস্ত লোক যারা বলে যে, আল্লাহ
আমাদিগকে এমন কোন রাসুলের উপর বিশ্বাস
না করতে বলে রেখেছেন, যতক্ষন
না তারা আমাদের নিকট এমন
কুরবানী নিয়ে আসবেন, যাকে আগুন গ্রাস
করে নেবে। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত নং ১৮৩)
*** শুধুমাত্র গৃহপালিত পশু কুরবানীর এই
স্থায়ী নিয়ম চালু হয় হযরত ইবরাহীম (আঃ) এর
সময় থেকে। হাদীসে এসেছে,
ﻋﻦ ﺯﻳﺪ ﺑﻦ ﺍﺭﻗﻢ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺍﺻﺤﺎﺏ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻲ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﺎﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﺎﻫﺬﻩ ﺍﻻﺿﺎﺣﻲ؟ﻗﺎﻝ
ﺳﻨﺔ ﺍﺑﻴﻜﻢ ﺍﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﻗﺎﻟﻮﺍﻓﻤﺎﻟﻨﺎﻓﻴﻬﺎ ﻳﺎﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ
ﻗﺎﻝ ﺑﻜﻞ ﺷﻌﺮﺓ ﺣﺴﻨﺔ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻓﺎﻟﺼﻮﻑ ﻳﺎﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ
ﻗﺎﻝ ﺑﻜﻞ ﺷﻌﺮﺓ ﻣﻦ ﺍﻟﺼﻮﻑ ﺣﺴﻨﺔ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﺔ
ﻭﺍﺣﻤﺪ
অর্থ হযরত যাইদ বিন আরকাম (রাঃ)
থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, প্রিয় নাবী (সাঃ)
এর সাহাবীগন (রাঃ) জিঙ্গাসা করেন,
হে আল্লাহর রসুল (সাঃ), এই সকল কুরবানীর
হাকীকাত/প্রকৃতি কি? তিনি জবাব দেন,
তোমাদের পিতা ইবরাহীম (আঃ) এর সুন্নাহ/
আদর্শ। তাঁরা প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল
(সাঃ), এই সুন্নাহ পালনে আমাদের কি লাভ হবে?
তিনি বলেন, প্রত্যেক চুলের
বিনিময়ে একটি কল্যান। তাঁরা জিঙ্গাসা করেন,
হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) তাহলে পশমেও কল্যান?
তিনি জবাব দেন, পশমের প্রত্যেক চুলের
বিনিময়ে কল্যান আছে। (ইবনে মাজা ও আহমাদ)
তোমাদের পিতা ইবরাহীম (আঃ)কিভাবে?
সকল সাহাবী (রাঃ) হযরত ইবরাহীম (আঃ) এর
বংশধর ছিলেন না। তারপরও রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
বলেছেন, তোমাদের পিতা ইবরাহীম। এই পিতৃত্ব
বংশগত নয়। বরং আদর্শগত পিতা। মুসলমানদের
আদর্শগত এবং জাতিগত পিতা হলেন :ইবরাহীম
(আঃ)।আদর্শিক ত্যাগ ও কুরবানী যতটুকু ইবরাহীম
(আঃ) করেছিলেন, ততটুকু অন্য কোন নাবীর পক্ষ
থেকে পাওয়া যায় না।
(১)আল্লাহ আত্মসমর্পন করতে বলেছেন,
তিনি বলেন, আমি বিশ্বের রবের নিকট
আত্মসমর্পন করলাম। (সুরা আল বাকারা, আয়াত
নং ১৩১)
(২)তিনি নিজ জাতিকে তাওহীদের
পক্ষে এবং শিরকের বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়ে অনেক
উদাহরন দিয়ে বুঝিয়েছেন। (সুরা আল আনআম,
আয়াত নং ৭৫–৭৯)
(৩)তাঁর যুগের স্বৈরাচারী শাসক নমরুদের
সাথে রবের ব্যাপারে বিতর্ক
করে তাকে নিরুত্তর করে দিয়েছেন। (সুরা আল-
বাকারা, আয়াত নং ২৫৮)
(৪)তাওহীদের পক্ষে এবং শিরকের
অসারতা বাস্তব
বুঝাতে যেয়ে আগুনে পোড়ায়ে মেরে ফেলার
সম্মুখীন হন। আল্লাহ অস্বাভাবিক
পদ্ধতিতে তাঁকে আগুন থেকে মুক্তি দেন।
(সুরা আম্বিয়া, আয়াত নং ৬৯)
(৫)মেসোপটেমিয়া ইরাক হিজরাত করে মিসর,
জর্দান,শিরিয়া, ফিলিস্তীন, মাক্কা,
ইত্যাদি এলাকা ঘুরে ঘুরে তাওহীদের দাওয়াত
পেশ করেছেন! (সুরা সা -ফফা-ত সহ বিভিন্ন সুরা)
(৬)মাক্কায় নিজ বড় পুত্র হযরত ইসমাঈল (আঃ) কে,
ফিলিস্তীনে দ্বিতীয় পুত্র ইসহাক (আঃ)
কে এবং জর্দানে ভ্রাতুষ্পুত্র হযরত লুত (আঃ)
কে প্রতিষ্ঠিত করেন, তাওহীদের প্রচার ও
প্রসার ঘটাবার জন্য। (ইতিহাস)
(৭)তখন একমাত্র সন্তানকে আল্লাহর
নির্দেশে কুরবানীর পরিপুর্ন প্রস্তুতি নেন।
এটা ছিল তাঁর জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।
তিনি সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ন হন। আদর্শ স্থাপন
করেন। বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে আসীন হন।
আদর্শিক জাতির পিতা হিসাবে বরিত হন।
আল্লাহ বলেন,
ﻭﺍﺫ ﺍﺑﺘﻠﻲ ﺍﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﺭﺑﻪ ﺑﻜﻠﻤﺎﺕ ﻓﺎﺗﻤﻬﻦ ﻗﺎﻝ ﺍﻧﻲ
ﺟﺎﻋﻠﻚ ﻟﻠﻨﺎﺱ ﺍﻣﺎﻣﺎ ﻗﺎﻝ ﻭﻣﻦ ﺫﺭﻳﺘﻲ ﻗﺎﻝ ﻻ ﻳﻨﺎﻝ
ﻋﻬﺪﻱ রআ থ্রঅ
ﺍﻟﻈﺎﻟﻤﻴﻦ যখন ইবরাহীমকে তার রব
কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা করেন। অতপর
তিনি সে সকল পরীক্ষায় পু্র্ন উত্তীর্ন হন। তখন
তিনি বলেন , নিশ্চয় আমি তোমাকে মানবজাতির
নেতা নির্ধারন করলাম! তিনি প্রার্থনা করলেন,
আমার কিছু সন্তানকেও নেতা নির্ধারন করুন।
তিনি জবাব দেন, আমার অঙ্গীকার
জালিমরা হাসিল করতে পারবে না। (সুরা আল
বাকারা, আয়াত নং (১২৪)
আল্লাহ সুরা হাজ্জের শেষ আায়াতে “তোমাদের
পিতা ইবরাহীমের মিল্লাত আকড়ে ধর ”
বলা হয়েছে।
হযরত ইবরাহীমের সুন্নাহ কি? (চলবে)

হস্তমৈথুন করলে কী কী ক্ষতি হয়? ও সামাধানের উপায় কী?

হস্তমৈথুন করলে কী কী ক্ষতি হয়? ও সামাধানের উপায় কী?

নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে হস্তমৈথুন করলে কি সমস্যা হয়?

১) পুরো শরীর দুর্বল হয়ে যায়এবং শরীর রোগ-বালাইয়ের যাদুঘর হয়ে যায়।

২)চোখের ক্ষতি হয়.

৩) স্মরণশক্তি কমে যায়।

৪) মাথা ব্যথা হয়।

৫) আর উভয়েরই সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হয়.

ফলে অনেক মুসলিম ভাই- বোনেরা নামাজ পড়তে পারেন না । ইত্যাদি আরো অনেক অজানা সমস্যা হয় হস্তমৈথুনের কারণে ।

→ বাঁচার উপায়ঃ
(ছেলে,মেয়ে উভয়ের জন্য)

১। নামাযের পর সুরা তওবার শেষ দুই আয়াত পড়ে গায়ে ফুঁক দিবে প্রতিদিন।এটা পরীক্ষীত…

২. কোন কারণে লিঙ্গ উত্তেজিত হলে হাত দ্বারা স্পর্শ করবেন না ।

৩.অশ্লীলতার ধারে কাছেও যাবেন না এবং খারাপ কিংবা অশ্লীল ছবি দেখবেন না ।

৪. ফেচবুকে বা অন্য কোথাও অশ্লীল কিছু
দেখলে নিজেকে বিরত রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন ।
৫। সর্বদা আল্লার প্রতি ভয় রাখবেন ।
৬. যেহেতু এটি হারাম তাই আপনার ইচ্ছা শক্তি দৃঢ় রাখবেন,তাহলেই হারাম থেকে বাচতে আল্লাহও সাহায্য করবেন । এই প্রশ্নটি হয়তো অনেকে মনে ছিলো কিন্তু লজ্জায় কারো কাছ থেকে জানতে পারতেন না ।

[ধন্যবাদ ]

বিশেষ করে এটারএকমাত্র ঔষুধ হলো সূরা তাওবার শেষ দুই আয়াত।
আপনাদের সুবিধার্থে সূরা তওবার শেষ দুই আয়াত দিলাম অনুগ্রহ করে মুখস্ত করে নিবেন.।

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

Screenshot_2016-02-21-12-39-11-picsay

 

Screenshot_2016-02-21-12-39-19-picsay