ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানি ৬

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানী।

মুহাদ্দিস রবিউল বাশার।

(পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর)

পুর্বোক্ত সুরা আসসাফফাতের ১০২ থেকে ১০৭
আয়াত পর্যন্ত কয়েকটি শিক্ষা পাওয়া যায়,
যা সংক্ষিপ্তভাবে পেশ করা হল।
(ক) নাবীরাসুলগনের (আঃ) স্বপ্ন
ওহী এবং সত্য। হযরত ইবরাহীম
(আঃ)সন্তানকে যবেহ করতে দেখার স্বপ্ন
আল্লাহর ওহী বলে ইবরাহীম (আঃ) এবং হযরত
ইসমাইল (আঃ) উভয়ই মনে করেন।
(খ) আল্লাহর নির্দেশ পালনকে সহজ করার
জন্য কিশোর বয়সের পুত্রের সাথে পরামর্শ
করেন। এবং বলেন, আমার স্বপ্ন
বাস্তবায়নের ব্যাপারে তোমার অভিমত কি?
(গ) হযরত ইসমাইল (আঃ) নিজের অভিমত ব্যাক্ত
করেন, এ স্বপ্ন মুলত আল্লাহর নির্দেশ,
অতএব, হে পিতা, আপনি আল্লাহর নির্দেশ
পালন করুন।
(ঘ) ভবিষ্যতে ঘটবে এমন কাজের
ক্ষেত্রে “আল্লাহ যদি ইচ্ছা করেন
“মুমিনের বলা উচিৎ। তাই ইসমাইল (আঃ) বলেন,
আল্লাহ ইচ্ছা করলে, অচিরেই
আপনি আমাকে ধৈয্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত
পাবেন।
(ঙ) তিনি একথা বলেন নি যে,
আপনি আমাকে ধৈয্যশীল পাবেন। বরং বলেন,
আপনি আমাকে ধৈয্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত
পাবেন। একথা অহংকারমুক্ত বিনয়ী কথা।
ধৈয্যশীল একা তিনি নন। অনেক ধৈয্যশীল
আছেন, তিনি তাদের একজন।
(চ) তিনি পুত্রকে কাত করে শোয়ান, যাতে তার
মুখ দেখে যবেহ করতে বাধা না হয়।
(ছ) হযরত ইবরাহীম (আঃ) যখন যবেহ করার
পুর্ন প্রস্তুতি নেন, তখন আল্লাহ ডাক
দিয়ে বলেন, হে ইবরাহীম, তুমি তোমার
স্বপ্নকে সত্যায়িত করেছ।
তিনি স্বপ্নে দেখেন যে, তিনি পুত্র যবেহ
করছেন। তিনি পুত্র যবেহ করেছেন
স্বপ্নে দেখেননি! স্বপ্নের নির্দেশ পালন
হয়ে গেছে।
(ছ) যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায়
সুন্দরভাবে কাজ সম্পাদন করে, তাদের
দুনিয়ার কষ্টও লাঘব করেন। আখিরাতের
মার্যাদা আছেই। ইবরাহীম (আঃ) আন্তরিকতার
সাথে আল্লাহর নির্দেশ করেন, তাই আল্লাহ
তাকে দুনিয়ায় সন্তান হারানোর মত কষ্ট
থেকে বাচান।
(জ) আল্লাহ সন্তান কুরবানীর
বিনিময়ে গৃহপালিত পশু কুরবানীর
রীতি স্থায়ীভাবে চালু করেন।
কুরবানীর তিনদিন পশু কুরবানীর
মাধ্যমে সবচেয়ে প্রিয় ব্যাক্তি বা বস্তু
আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করার
শিক্ষা নেবে মুমিন মুসলিম ব্যাক্তি। এখন
পশু কুরবানী করছি। প্রয়োজন হলে আল্লাহর
জন্য, আল্লাহর দ্বীনের জন্য, নিজের
সবচেয়ে প্রিয় ব্যাক্তি, বস্তু
এমনকি সর্বোস্ব বিলিয়ে দেব।
ﺍﻥ ﺻﻠﻮﺗﻲ ﻭﻧﺴﻜﻲ ﻭﻣﺤﻴﺎﻱ ﻭﻣﻤﺎﺗﻲ ﻟﻠﻪ ﺭﺏ
ﺍﻟﻌﺎﻟﻤﻴﻦ
অর্থ নিশ্চয় আমার নামাজ, আমার কুরবানী,
আমার জীবন এবং আমার মৃত্যু বিশ্বের
প্রভু আল্লাহর জন্য। (সুরা আল আনআম, আয়াত
নং ১৬২)(চলবে)

About আলোর কাফেলার সঙ্গী

আমি একজন মুবাল্লিগ ... আল্লাহ আমাকে কবুল করুন. আমিন

Posted on সেপ্টেম্বর 30, 2014, in ঈদুল আযহা ও কুরবানি. Bookmark the permalink. এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান.

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান