Daily Archives: সেপ্টেম্বর 20, 2014

আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়।

আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়।

মুহাম্মাদ রবিউল বাশার
(পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার
পর) (5)

(5)আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার জন্য জানমাল
দিয়ে জিহাদ করা তৃতীয় শর্ত।
আল্লাহ তায়ালা এ দুনিয়ায় একটি সাধারন নিয়ম
রেখেছেন, যে সকল বিষয় মানুষের ক্ষমতার
অধীন, সে সকল বিষয়ের জন্য সাধ্য মুতাবিক
চেষ্টা ও তাদবীর না করলে, তা সম্পন্ন হয়না।
আল্লাহ তায়ালা এই কারনে দ্বীন কায়েমের জন্য
জিহাদ করা (সর্বাত্তম সংগ্রাম করা) আল্লাহর
সাহায্যের জন্য শর্ত করেছেন। ক্ষমা ও জান্নাত
লাভের জন্য যেমন ঈমান ও জিহাদের প্রয়োজন,
অনুরুপভাবে দুনিয়ায় আল্লাহর সাহায্য লাভভের
জন্য ঈমান ও জিহাদ শর্ত। আল্লাহ বলেন, ﺎﻬﻳﺍﺎﻳ
ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺍﻣﻨﻮﺍ ﻫﻞ ﺍﺩﻟﻜﻢ ﻋﻠﻲ ﺗﺠﺎﺭﺓ ﺗﻨﺠﻴﻜﻢ ﻣﻦ
ﻋﺬﺍﺏ ﺍﻟﻴﻢ ﺗﺆﻣﻨﻮﻥ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻮﻟﻪ ﻭﺗﺠﺎﻫﺪﻭﻥ
ﺑﺎﻣﻮﺍﻟﻜﻢ ﻭﺍﻧﻔﺴﻜﻢ ﺫﺍﻟﻜﻢ ﺧﻴﺮ ﻟﻜﻢ ﺍﻥ ﻛﻨﺘﻢ ﺗﻌﻠﻤﻮﻥ
ﻳﻐﻔﺮ ﻟﻜﻢ ﺫﻧﻮﺑﻜﻢ ﻭﻳﺪﺧﻠﻜﻢ ﺟﻨﺎﺕ ﺗﺠﺮﻱ ﻣﻦ ﺗﺤﺘﻬﺎ
ﺍﻻﻧﻬﺎﺭ ﻭﻣﺴﺎﻛﻦ ﻃﻴﺒﺔ ﻓﻲ ﺟﻨﺎﺕ ﺣﺪﻥ ﺫﺍﻟﻚ ﺍﻟﻔﻮﺯ
ﺍﻟﻌﻈﻴﻢ ﻭﺍﺧﺮﻱ ﺗﺤﺒﻮﻧﻬﺎ ﻧﺼﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻓﺘﺢ ﻗﺮﻳﺐ
ﻭﺑﺸﺮ ারায ,েহও থ্রঅ
ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻴﻦ ঈমান এনেছো, আমি তোমাদের
এমন ব্যবসার
কথা বলবো ,যা তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক
শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে? তা হলো এই যে,
তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান
আনবে এবং তোমরা তোমাদের মাল ও জান
দিয়ে আল্লাহর পথে সংগ্রাম করবে।
উহা তোমাদের জন্য কল্যানকর,
যদি তোমরা জানতে! তাহলে তিনি তোমাদের
গুনাহসমুহ ক্ষমা করবেন এবং এমন জান্নাত
সমুহে প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশ
দিয়ে নহরসমুহ প্রবাহিত,
এবং চিরস্থায়ী জান্নাতসমুহে প্রবেশ করাবেন।
উহা মহা সফলতা। আর একটি বিষয় দেবেন,
যা তোমরা ভালবাস, আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য
এবং নিকটবর্তী বিজয়। আর(হে রাসুল সাঃ)
তুমি মুমিনদের সুসংবাদ দাও। (সুরা আস সাফ)
আল্লাহ নিয়ম নির্ধারন করে রেখেছেন যে,
বান্দা যখন তার সাধ্যের অধীন কাজের জন্য
সাধ্যানুযায়ী সর্বশক্তি নিয়োগ করে, তখন
আল্লাহ সাহায্য করা শুরু করেন।
দ্বিতীয় হিজরীর রমাদান মাসে রাসুলুল্লাহ
(সাঃ)তিনশতের উর্ধে সাহাবীদের
সাথে নিয়ে বদর নামক যুদ্ধে একহাজার
মুশরিকদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করেন,
আল্লাহর সাহায্য নেমে আসে। মহান আল্লাহ বদর
যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত বর্ননা দিয়ে বলেন,
ﻗﺪﻛﺎﻥ ﻟﻜﻢ ﺍﻳﺔ ﻓﻲ ﻓﺌﺘﻴﻦ ﺍﻟﺘﻘﺘﺎ ﻓﺌﺔ ﺗﻘﺎﺗﻞ ﻓﻲ
ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺍﺧﺮﻱ ﻛﺎﻓﺮﺓ ﻳﺮﻭﻧﻬﻢ ﻣﺜﻠﻴﻬﻢ ﺭﺍﻱ
ﺍﻟﻌﻴﻦ ﻭﺍﻟﻠﻪ ﻳﺆﻳﺪ ﺑﻨﺼﺮﻩ ﻣﻦ ﻳﺸﺎﺀ ﺍﻥ ﻓﻲ ﺫﺍﻟﻚ
ﻟﻌﺒﺮﺓ ﻻﻭﻟﻲ ﺍﻻﺑﺼﺎﺭ
অর্থ নিশ্চয় দুটি দলের মুকাবালার
মধ্যে তোমাদের জন্য নিদর্শন ছিল। একটি দল
আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে। আর অপর দল ছিল
কাফিরদের, এরা স্বচক্ষে তাদেরকে দ্বিগুন
দেখছিল। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা, নিজের
সাহায্যর মাধ্যমে শক্তি দান করেন। নিশ্চয়
উহার মধ্যে দৃষ্টিসম্পন্নদের জন্য শিক্ষনীয়
রয়েছে। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত নং 13)
যুদ্ধ বিজয়ের আল্লাহর নিয়মের শর্ত পুরন
থাকলে আল্লাহর সাহায্য অনিবার্য। জানমাল
দিয়ে সংগ্রাম না করে শুধু দুআয় বিজয়
দেয়া বা আল্লাহর সাহায্য আাসা আল্লাহর
সাধারন নিয়ম নয়। বিশ্বনাবী, সৃষ্টির
সেরা যার দুআ কবুল হয়, তাঁর মত ব্যক্তিকেও
যুদ্ধের ময়দানে যেতে হয়, সাধ্যমত যুদ্ধের
সাজসরন্জাম নিতে হয়, যুদ্ধ করতে হয়, আহত
হতে হয়, তাঁর শাহাদাতের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে,
বাহ্যিক পরাজয়ও হয়, তাঁর যুদ্ধের
নির্দশনা লঙ্ঘনের কারনে।
যারা ইসলামকে ধ্বংসের সমস্ত
পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হয়, সুযোগমত সকল
ষড়যন্ত্র ও কৌশল অবলম্বন করে, সকল উপায় যখন
নিঃশেষ হয়ে যায়। যুদ্ধ ছাড়া উপায় না থাকে।
সে শক্তিও সম্ভমত সঞ্চিত থাকে, তখন জান ও
মাল নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হলে আল্লাহর সাহায্য
পাওয়া যায়।